উজিরপুরে ঘুমন্ত মা বাবার কাছ থেকে কন্যা শিশু চুরি,৩ ঘণ্টা পরে উদ্ধার

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ২৬, ২০২২ | ১১:০৯ পূর্বাহ্ণ

নাজমুল হক মুন্না ::বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে বাবা মা এর সাথে ঘুমান্ত কন্যা শিশু চুরির অভিযোগ, স্থানীয় ও ভুক্তভোগী পরিবার এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়,গত২৩ সে জুলাই শনিবার রাতে উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়ন’র বর্তা গ্রামের মৃত কবির হোসেন তালুকদার এর ছেলে মোঃ মিলন তালুকদার স্ত্রী-সন্তান নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন।গভির রাতে তার স্ত্রীর ঘুম ভেঙে যায় এবং তিনি তাদের ঘরের দরজা খোলা দেখে, তার স্বামী মিলন তালুকদের কে ডেকে ঘুম ভাঙ্গান,ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারেন তাদের ঘর চুরি হয়েছে,এ সময় তার স্ত্রী কান্না কন্ঠে জানান তাদের কন্যা শিশু (১৮)মাসের খুজে পাওয়া যাছেনা।গভীর রাতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর কান্নায় প্রতিবেশীরা সজাগ হয়ে যান এবং তারা ঘটনা শুনে স্থানীয় মসজিদের মাইকে শিশুকন্যা চুরির ঘটনাটি প্রচার করেন,মসজিদের মাইকে প্রচার এর পরে এলাকাবাসী শিশুটিকে খুঁজতে শুরু করেন,পরবর্তীতে প্রায় ৩/৪ ঘণ্টার ব্যবধানে একটু জমির ভিতর শিশুর কান্না শুনে এলাকাবাসী শিশুটিকে উদ্ধার করেন,এবং দুষ্কৃতিকারীরা পালিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া কিছুক্ষণ পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার স্পর্শ কাতর স্থানে রক্তের দাগ দেখতে পান,প্রথমে শিশুটিকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়েগেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রয়ন করেন। শিশুটি বর্তমানে সের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চিকিৎসাধীন রয়েছে,এ বিষয়ে শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মাঝী বলেন, নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান, উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত )মো মমিন উদ্দিন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,স্থানীয়ভাবে সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল এবং আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে,বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হয়েছে।উলেক্ষ এর আগে ২০১২ সালে এই এলাকায় একইভাবে বেশ কিছু কন্যা শিশু চুরি হয় এবং তাদেরকেও পাওয়া যায় কিন্তু তাদের স্পর্শ কাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল, পুলিশ ঘটনার ১০বছর হলেও আজও প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হন।স্থানীয়রা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host