ধর্ষণকাণ্ডে ৬ জনকে ধরিয়ে দেওয়া সেই রিকশাচালককে হত্যার হুমকি

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ১, ২০২২ | ৮:১২ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের জিইসি এলাকায় সংঘটিত একটি ধর্ষণের বিষয়ে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করে তথ্য দেওয়া রিকশাচালক মো. আব্দুল হান্নানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। হুমকির পর খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।

রবিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানায় জিডিটি করেন আব্দুল হান্নান। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা গণমাধ্যমকে বলেছেন, রিকশাচালক আবদুল হান্নানকে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় থানায় একটি জিডি হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।

তিনি বলেন, ‘হান্নান অভিযোগ করেছেন যে তিনি দুই নম্বর গেট থেকে এক যাত্রীকে নিয়ে লালখান বাজার এলাকায় আসেন। ওই যাত্রী ভাড়া না দিয়ে চলে যান। এরপর তিনি রিকশায় একটি চিরকুট পান, যেখানে হান্নানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে।’

চিরকুটে লেখা, ‘আমাদের ছেলেগুলোকে পুলিশে ধরিয়ে দিয়ে ভুল করেছ তুমি আব্দুল হান্নান। তোমাকে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। নইলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে।’

গত ১৭ জুলাই রাত ২টার দিকে ২৮ বছর বয়সী এক নারী নগরের ঝাউতলায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে রিকশায় করে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার নিজ বাসায় ফিরছিলেন। রাস্তায় গাড়ি ও লোকজনের সংখ্যাও কম ছিল। রিকশাটি জিইসি বাটা গলি এলাকায় উড়ালসড়কের নিচে পৌঁছালে গতিরোধ করা হয়। পরে ওই তরুণীকে রিকশা থেকে নামিয়ে কাছের একটি টংদোকানের পাশে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন ছয় যুবক।

ওই তরুণীকে বহনকারী রিকশার চালক মো. রাকিবকে চলে যেতে বলেন যুবকরা। বিষয়টি তিনি একটু দূরে গিয়ে আরেক রিকশাচালক আবদুল হান্নানকে জানান। পুরো ঘটনা জানার পর পরে তিনি ৯৯৯-এ ফোন করেন। ১৫ মিনিট পর খুলশী থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলের পাশে এসে তাকে ফোন করে। তিনি নগরের খুলশী থানার জিইসি বাটা গলি এলাকায় আখতারুজ্জামান চৌধুরী উড়ালসড়কের নিচে টংদোকানের ঠিকানা দেন পুলিশকে। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ফারুক হোসেন, আবদুর রহমান ও মো. আরিফ নামের তিনজনকে গ্রেফতার করে। বাকি তিনজন পালিয়ে যায়। পরদিন রাতে সাইফুল ইসলাম, আবদুল খালেক ও মোহাম্মদ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

এরপর ছয়জনকে আসামি করে ওই নারী থানায় মামলা করেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host