বরিশালে পল্লী চিকিৎসকের ‘ওষুধ খেয়ে’ ১৪ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি গৃহবধূর

প্রকাশের তারিখ: আগস্ট ১৮, ২০২২ | ৯:১৫ অপরাহ্ণ

অনলাইন ডেস্ক।।
পল্লী চিকিৎসকের ওষুধ খেয়ে হানুফা বেগম (৩৫) নামক এক নারীর জীবন সংকটাপন্ন হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৪ আগস্ট অজ্ঞান হওয়ার পর এ পর্যন্ত তার জ্ঞান ফেরেনি। তিনি বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালে (শেবাচিম) মেডিসিন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।

হানুফা বেগম বাকেরগঞ্জ উপজেলার ভরপাশা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপাশা গ্রামের বশির জমাদ্দারের স্ত্রী। তার ভাই আল মামুন এ ঘটনায় পটুয়াখালী থানায় পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

আল মামুন জানান, তার বাবা ও বোন অসুস্থবোধ করলে গত ৩০ জুলাই চিকিৎসার জন্য পার্শ্ববর্তী লাউকাঠি ইউনিয়নের জামুরা গ্রামের পল্লী চিকিৎসক গোড়াচাঁদ শীল খোকনের কাছে নেন। তিনি কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই ব্যবস্থাপত্রে ১৫ প্রকারের ওষুধ লিখে দেন। ওষুধ খাওয়ার পর দুজনেই আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ৪ আগস্ট তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার বাবা শাহজাহান খন্দকার কিছুটা সুস্থ হয়ে হলেও বোনের এখন পর্যন্ত জ্ঞান ফেরেনি।

শেবাচিম হাসপাতালে কর্মরত এক চিকিৎসক জানান, হানুফাকে গত ৪ আগস্ট আশঙ্কাজনক অবস্থায় শেবাচিমে ভর্তি করা হয়েছে। ডায়াবেটিকের ওষুধ সেবনের কারণে তার সুগারের মাত্রা নেমে গেছে। ভর্তির পর তার বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তার জ্ঞান ফেরেনি। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক গোড়াচাঁদ শীল খোকন জানান, রোগী তার কাছে আনা হয়েছিল খারাপ অবস্থায়। খুঁটিনাটি সব দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছেন তিনি। এতে কোনো ক্ষতি হওয়ার কথা নয়। তার দেওয়া চিকিৎসা সঠিক বলে দাবি করেন তিনি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান জানান, এক পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসা দেওয়ার লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host