দক্ষিণাঞ্চলের নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে

প্রকাশের তারিখ: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২ | ১০:১১ অপরাহ্ণ

বরিশালের নদ-নীদর পানি আরও বেড়েছ। রবিবার বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাইড্রোগাফি বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী আগের দিনের চেয়ে কীর্তনখোলা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার বেড়ে ২.৭০ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে। কীর্তনখোলা নদীর পানির বিপদসীমা ২.৫৫ মিটার। ভোলা খেয়াঘাট এলাকায় তেতুলিয়া নদীর পানি ৩.০৫ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়। তেতুলিয়া নদীর পানির বিপদসীমা ২.৯০ মিটার। দৌলতখান পয়েন্টে মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি ৪.১৮ মিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হয়।

দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানির বিপদসীমা ৩.৪১ মিটার। এই দুই নদীর তজুমুদ্দিন পয়েন্টে ৩.৮০ মিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। দৌলতখান পয়েন্টে এই দুই নদীর পানির বিপদসীমা ২.৮৩ মিটার।

বিষখালী নদীর ঝালকাঠী পয়েন্টে ২.৩০ মিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়। ঝালকাঠী পয়েন্টে বিষখালী নদীর বিপদসীমা ২.০৮ মিটার।

একইভাবে বুড়িশ্বর ও পায়রা নদীর পানি মীর্জাগঞ্জ পয়েন্টে বিপদসীমার (২.৮১ মিটার) ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিষখালী নদীর বরগুনা পয়েন্টে বিপদসীমার ( ২.৮৫ মিটার) ৪০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, বিষখালী নদীর পাথরঘাটা পয়েন্টে বিপদসীমার (২.৮৫ মিটার) ৯০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপদসীমার (২.৬৮ মিটার) ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি বিপদসীমার (২.৬৫ মিটার) ২৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। বরগুনা পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি ছাড়া অন্য সব নদীর পানি আগের দিনের চেয়ে রবিবার আরও বেশী উচ্চতায় প্রবাহিত হয়েছে।

নদ-নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় নদী তীরবর্তী এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। আবার ভাটির সময় পানি নেমে যাচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশাল জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নুরুল ইসলাম সরকার বলেন, গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়েছে। এই পানি বৃদ্ধির হার আগামী ১-২ দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এরপর পানি ধীরে ধীরে কমতে থাকবে বলে তারা ধারনা করছেন।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host