শফিকুল ইসলাম, বাবুগঞ্জঃ
একটি প্রতারক চক্র বরিশাল পলি বিদুৎ লোক পরিচয় দিয়ে বাড়ি গিয়ে বাবুগঞ্জ উপজেলা মহিষাদি এলাকার পল্লী বিদুৎ গ্রাহকদের কাছ থেকে বকেয়া বিল বাবদ হাতিয়ে নিয়েছে টাকা।
প্রতারক চক্র বিলের টাকা নিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ পর গ্রাহক বিদুৎ অফিসে গেলে জানতে পারে এই অভিনব ও পরিকল্পিত প্রতারণার ঘটনা।
জানান, বরিশাল ২ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের আওতাধীন মহিষাদি গ্রামের হারুন অর রশিদ ব্যাপারী একজন গ্রাহক। তার হিসাব নাম্বার ৪৮৩- ৪৮০০ । দুই মাসের বকেয়া বিদ্যুত বিল বাবদ প্রতারকরে তার স্ত্রী কনকচাপার কাছ থেকে বার হাজার দুইশত আঠাস টাকা নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমার কাছে পল্লিবিদুতের লাইন ম্যান পরিচয়ে ২ মাসের বকেয়া টাকা চায় ও বিদুৎ বিলে স্বাক্ষর করে কিছু টাকা নেয়। সব টাকা আমার কাছে না থাকায় ০১৭৭১৭৪৭০৯৫//০১৭৯৮২২৩৩৮০ ফোন নাম্বার থেকে ফোন করে বিকাশে বাকি টাকা নেয়।
আমার প্রশ্ন হলো, পল্লী বিদ্যুতের বিলের তথ্য প্রতারক চক্রের কাছে গেল কিভাবে। অফিসের বিলি সেকশন বা মিটার রিডারদের সাথে প্রতারক চকের যোগসাজশ থাকতে পারে। বিষয়টি জোরালো তদন্ত হওয়া জরুরী।
গ্রাহকরা সন্দেহ করছেন এর সাথে পল্লী বিদুৎ অফিসের কোননা কোন যোগসূত্র আছে। নইলে কোন গ্রাহকের কয় মাসের বিল বাকি, সে তথ্য প্রতারক চক্র জানলো কি করে ? পল্লী বিদ্যুতের বিলের তথ্য প্রতারকের কাছে গেল কিভাবে।
এবিষয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ১৬ই আগষ্ট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হারুন অর রশিদ এর স্ত্রী কনক চাপা।
বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম জানান, এই রকমের ঘটনা আমার জানা নেই। এই রকম আর যাতে না ঘটে তার জন্য গ্রাহকদের শতর্ক থাকতে হবে।