কলাপাড়া প্রতিনিধি ঃ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অমিল কে মিল করিয়ে দিতে ওঝার কাছে এসে গন ধর্ষণের শিকার হলেন এক সন্তানের জননী (২২)।
তদবির এর কথা বলে কৌশলে বাসায় আটকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়ন এর দক্ষিণ চরপাড়া গ্রামে।এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ওই গৃহবধুর দায়ের করা মামলায় পুলিশ অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম (৩৬), মালেক হাওলাদার(৫০) ও আলমগীর হোসেনকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে। দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম জানান, গত ২৪ সেপ্টেম্বর সন্ধা ৭টা থেকে পরদিন রাত দুইটা পর্যন্ত দক্ষিণ চরপাড়ার মালেক হাওলাদারের খালি বাসায় আটকে ওই গৃহবধুকে ধর্ষণ করে।
পুলিশ কর্মকর্তা জানান, নারায়নগঞ্জের রসুলপুর পাগলা এলাকার ওই গৃহবধুর সাথে তার স্বামীর কিছুদিন ধরে বিরোধ চলছে। এ বিরোধ মোটানোর জন্য তার ফ্লাটের এক নারীর সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে শহিদুলের সাথে পরিচয় হয়। এরপর শহিদুল এক ফকিরের মাধ্যমে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে এ সমস্যা সমাধান করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। সে ওই টাকা নিয়ে তাকে কৌশলে কলাপাড়া নিয়ে আসে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। এরপর তার নিজ বাসায় উঠায়। পরদিন সন্ধায় ফকিরের কাছে তদবির আনতে যেতে হবে বলে মালেকের খালি বাসায় নিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে। এ ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ধর্ষনকারীরা। পরদিন তাদের কাছ থেকে ছাড়া পেয়ে ওই গৃহবধু বাসযোগে ঢাকায় গিয়ে তার অভিভাবকদের বিষয়টি জানালে গত শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) তারা কলাপাড়ায় এসে পুলিশকে বিষয়টি জানান।
কলাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, গৃহবধুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তারা ঘটনায় জড়িত তিনজনকেই গ্রেপ্তার করেছেন। শনিবার দুপুরে গৃহবধুর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে এবং আসামীদের আদালতে প্রেরণ করেছেন।