তথ্য প্রযুক্তি।।
দেশের ৯১ ভাগ ব্যবহারকারী দিনের অর্ধেক সময় মোবাইল ফোনে ব্যস্ত থাকেন। এই ৯১ শতাংশই মনে করেন ফোন ব্যবহারে তাদের জীবনমানের উন্নতি ঘটেছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন নারীরা। তাদের এই হার ৬৩ শতাংশ। এছাড়া বাংলাদেশের ৯৭ শতাংশ ব্যবহারকারী ডিভাইসের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বনানীর একটি হোটেলে গ্রামীনফোন আয়োজিত ‘ডিজিটাল লাইভস ডিকোডেড’ শীর্ষক টেলিনরের এক সমীক্ষায় এসব তথ্য উঠে আসে। গ্রামীণফোনের চেয়ারম্যান ও টেলিনর এশিয়ার প্রধান ইয়র্গেন সি অ্যারেন্টজ রোস্ট্রাপ এই তথ্য জানান। টেলিনর এশিয়ার ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই সমীক্ষা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি এশিয়ার আটটি দেশে ৮ হাজার মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর ওপর একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে টেলিনর এশিয়া। টেলিনরের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে এ সমীক্ষা চালানো হয়। এই সমীক্ষার ফলাফলে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবক হিসেবে ৫টি বিষয় তুলে ধরা হয়।
সমীক্ষা থেকে দেখা যায়, ‘অলওয়েজ অন’ অর্থাৎ সবসময় সক্রিয় থাকবেন, এমন জীবনযাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন বেশিরভাগ মানুষ। বাংলাদেশের ৯১ শতাংশ উত্তরদাতা মনে করেন মোবাইল ব্যবহার করার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি ঘটেছে। সবমিলিয়ে এ ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আছেন, এই অঞ্চলে জীবনের মান বিশেষভাবে উন্নত হয়েছে প্রসঙ্গে ৫২ শতাংশ পুরুষের তুলনায় ৬৩ শতাংশ নারী ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন। এছাড়াও, বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের কারণে তাদের জীবনমান উন্নত হয়েছে মনে করেন ৫৯ শতাংশ নারী এবং ৫০ শতাংশ পুরুষ।