বরিশাল বাণী: ৫ নভেম্বর বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশস্থানের অনুমতি দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
সোমবার (৩১ অক্টোবর) বিকেল ৪ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মেজবা উদ্দিন ফরহাদ ।
তিনি বলেন, বরিশাল মহানগর মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক, সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ ও আমিসহ কয়েকজন আজ সোমবার বেলা ৩ টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে যাই। সেখানে আমরা বরিশালের জেলা প্রশাসকের সাথে সাক্ষাত করেছি। তিনি মৌখিকভাবে বেলস পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান)সমাবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়টি আমাদের নিশ্চিত করেছেন। এখন আমরা সেখানে সমাবেশের আয়োজন নিয়ে কাজ শুরু করবো।
আর বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির জাহিদ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা বেলস পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) সমাবেশের জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। বিকাল ৩টার দিকে ডিসি সাহেব ফোন করে অনুমতির বিষয়টি জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দারকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি। সেইসাথে খুদে বার্তা দেয়া হলেও তিনি তার কোন উত্তর দেননি। তবে জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, ৭ নভেম্বর একটি অনুষ্ঠান রয়েছে, যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যুক্ত থাকবেন। এই কারণে বঙ্গবন্ধু উদ্যানের একটি অংশ ছেড়ে দিয়ে বিএনপিকে সমাবেশ করার জন্য বলা হয়েছে। সেইসাথে অনুমতি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটবে না এমন আশ্বাসও দিতে হয়েছে বিএনপি নেতাদের।
এদিকে সমাবেশের আগের দিন ৪ নভেম্বর ও সমাবেশের দিন ৫ নভেম্বরবরিশালে বাস ও থ্রি হইলার যানবাহন মালিক-শ্রমিক ধর্মঘটের ডাক দেয়ায় বিপাকে পরেছেন নেতা-কর্মীরা। বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে মহানগরের বাহিরের ৬ জেলার দুরদূরান্তের নেতা-কর্মীরা বরিশালে আসতে শুরু করেছেন। অনেকেই হোটেলে উঠছেন, আবার অনেকেই আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে বরিশাল মহানগরের আশপাশের নেতা-কর্মীরা পায়ে হেটে হলেও সমাবেশে আসবেন বলে জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) অ্যাডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, আমরা সরকার পতন আন্দোলনের যুদ্ধে নেমেছি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ে মানুষকে দেশ রক্ষায় ঠেকানো যায়নি। এ যুদ্ধেও সরকারের কোন কৌশলই জনসমাবেশে মানুষ আসা রোধ করতে পারবে না। তা আপনারা(সাংবাদিক) দেখবেন।