বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করতে চান –কাজিপুরের জনসভায় নানক

প্রকাশের তারিখ: নভেম্বর ১, ২০২২ | ১১:২৮ অপরাহ্ণ

সেলিম শিকদার সিরাজগঞ্জঃ-

বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে আওয়ামীলীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিতে চান বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুলরা।
তারা বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করতে চায়। তারা বিভিন্ন সময়ে হুঙ্কার দেন দশ ডিসেম্বরের পর নাকি তারা ক্ষমতায় আসবে এবং তাদের কথায় দেশ চলবে। দিনের বেলাতেই তারা স্বপ্ন দেখে চলেছে। তারা জানে না যে প্রতিটি বাঙালির হৃদয় থেকে আওয়ামীলীগকে কখনো মুছে ফেলা যাবে না। মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা পরিষদ ময়দানে জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স
শুভউদ্বোধন ও জেলহত্যা দিবসের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার পর আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীরা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলাম। আর তখনই সামরিক জান্তা জেনারেল জিয়া ও মোস্তাকরা আবার একটি ষড়যন্ত্র করলো। যারা বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই জাতীয় চার নেতাকে কারাগারে নির্মম ভাবে হত্যা করে। ৭১-এ যেমন পাকিস্তানী ও দেশীয়
রাজাকার বাহিনী হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, একই কায়দায় জিয়া-এরশাদ-খালেদাআওয়ামীলীগকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য নির্যাতন করেছে।
ওরা আমাদের হাত-পা কেটেছে। ওরা বাড়ীঘর লুট করেছে, ভাইয়ের সামনে বোনকে ধর্ষণ করেছে। কিন্তু আওয়ামীলীগেকে কোন ভাবেই নিশ্চিহ্ন করা যায় না সেটাই প্রমাণিত হয়েছে। বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, আপনারা এখন গণতন্ত্রের কথা বলেন, ভোটের
কথা বলেন। আপনারাইতো এক কোটি ২০ লাখ ভূয়া ভোটার বানিয়ে বিজয়ী হতে চেয়েছিলেন। আপনারা কথায় কথায় গনতন্ত্রের কথা বলেন,
আপনাদের মুখে কি গণতন্ত্রের কথা মানায় না। আওয়ামীলীগকে জনগণের ভয় দেখান। এটা মনে রাখবেন আওয়ামীলীগ
জনগনের দল। আওয়ামীলীগ একটি প্রাচীনতম রাজনৈতিক সংগঠন। আওয়ামীলীগের ভাই বন্ধুদের সদা প্রস্তুত থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তিকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সূচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. এ আরাফাত বিএনপির নেতাকর্মীর উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা এখন বোকার স্বর্গে বাস করেন। যারা নিজেরাই ঠিকমতো চলতে পারেন না। তারাই নাকি ১১ ডিসেম্বরের পর দেশ চালাবে। এটা বড়ই হাস্যকর। তানভীর শাকিল জয় এমপি বলেন, কাজিপুরের মাটি শহীদ এম মনসুর আলী ও মোহাম্মদ নাসিমের ঘাটি। এখানে বিএনপি-জামায়াতের কোন স্থান হবে না। অতিতের মতো ২০২৪ এর নির্বাচনেও কাজিপুরের মাটিতে বিপুল ভোটে
নৌকা বিজয়ী হবে। আবার একটি যুদ্ধ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সেই যুদ্ধের মধ্য দিয়ে সকল অপশক্তিকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে।

আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বিএনপির এক কান তো গেছে, জনগন এবার দুই কান কেটে দেবে। খালেদা জিয়ার কারণেই এক-এগারোর আর্বিভাব ঘটেছিল উল্লেখ করে মির্জা
ফখরুলকে তিনি প্রশ্ন করেন, কোন সংবিধানের বলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
সেনাবানিহীতে চাকরীরত অবস্থায় কেউ নির্বাচন করতে পারে না। জিয়াউর
রহমান সেনাবাহিনীর সেই আইন ভঙ্গ করে হা না ভোটে নির্বাচন করেছিলেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেফাজ উদ্দিন মাস্টারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ
সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজীর সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন,
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এ্যাডভোকেট কে,এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস
সামাদ তালুকদার, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ইউসুফ সূয্য, কাজিপুর পৌর মেয়র আব্দুল হান্নান তালুকদার,

এর আগে দুপুরে কাজিপুর উপজেলা পরিষদের পূর্ব পাশে প্রায় সোয়া তিন কোটি
টাকা ব্যয়ে জাতীয় নেতা শহীদ এম মনসুর আলী মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করেন নেতৃবৃন্দ।৥

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host