গলাচিপায় ধানের চিটায় চিন্তিত কৃষক

প্রকাশের তারিখ: নভেম্বর ১০, ২০২২ | ৫:৩৪ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় এ বছর অধিকাংশ ইরি ধানে চিটা হওয়ার কারণে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন কৃষক। ধান পাকার আগেই চিটা দেখা দেওয়ায় কৃষকের কপালে এখন দুশ্চিন্তার ভাঁজ। সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে এমনটা হয়েছে বলে অনেক কৃষক মনে করছেন। এছাড়াও অতিবৃষ্টির কারণে ধান গাছের গোড়ায় পঁচন ধরেছে। তবে সরকার এ রবছর ২৬ টাকা কেজি দরে আট লাখ মেট্রিক টন ধান কেনার ঘোষণা দিলে কৃষকের মনে কিছুটা স্বস্তি এসেছে।

সরেজমিন উপজেলার পানপট্টি, রতনদী তালতলী, ডাকুয়া, চিকনিকান্দি, গোলখালী ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, নির্দিষ্ট সময়ের আগেই এ বছর ধানের গোছায় ধান দেখা দেওয়ায় অধিকাংশ ধানে চিটা হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ার কারণে এমন হয়েছে বলে অনেক কৃষক মনে করছেন। এছাড়াও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষেতের পানি নিষ্কাশন করতে না পারায় ধান গাছের গোড়া পঁচে গেছে।

পানপট্টি ইউনিয়নের গ্রামর্দ্দন গ্রামের কৃষক মোতাহার খা বলেন, ‘আমি দুই কানি (৫ একর) জমিতে ইরি-১১ রোপন করেছি। ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু অতিবৃষ্টি আর ঝড়ের কারণে বেশির ভাগ ধানে চিটা হয়েছে। আবার অতিরিক্ত বৃষ্টির পানি ক্ষেত থেকে সরাতে না পারায় ধান গাছের গোড়া পঁইচ্চা গেছে। এখন আল্লাহর উপর ভরষা করা ছাড়া কোনও উপায় নেই।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজু আক্তার বলেন, ‘এবছর ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে উপশি আমন এবং স্থানীয় চাষাবাদ অনুযায়ী ১ লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। টানা বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ার কারণে অনেক এলাকায় ধান গাছের ফুল ঝরে পড়েছে। কিছু ধানে চিটাও লক্ষ্য করা গেছে। তবে বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকরা সামান্য ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন বলে আশা করছি।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host