চরফ্যাশনে লেপ তোশক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা

প্রকাশের তারিখ: নভেম্বর ১০, ২০২২ | ১০:০০ অপরাহ্ণ

এম লোকমান হোসেন :ভোলার চরফ্যাশনে শীতের আগমন লেপ-তোশক তৈরির ধুম। চরফ্যাশনের ৪টি থানা ও ১টি উপজেলায় শীতের আগমনে ধুম পড়েছে লেপ-তোশক তৈরির কাজ। লেপ তোশকের কারিগররা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জনসাধারণও ভিড় জমাচ্ছেন লেপ-তোশকের দোকানে। চরফ্যাশন উপজেলার চরফ্যাশন বাজার, দক্ষিণ আইচা বাজার,দুলারহাট থানার দুলারহাট বাজার, শশিভূষণ থানার শশীভূষন বাজার, আনজুরহাট বাজার,চেয়ারম্যান বাজার, আটকপাট বাজার ও চরফ্যাশনের কেরামতগন্জ বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের লেপ তোশক তৈরির প্রতিটি দোকানে এখন প্রতিদিন ১৫/২০টি লেপ তোশক তৈরি হচ্ছে। তবে লেপের কাপড়,ফোম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় এ বছর বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
চেয়ারম্যান বাজারের ভাই ভাই বেডিংর
মালিক বাবুল হোসেন এই প্রতিবেদককে বলেন ২২/২৩ বছর ধরে লেপ-তোশক তৈরি ও বিক্রি করে আসছি। লেপ তোশক তৈরি করে আজ আমি স্বাবলম্বী হয়েছি। ছেলেনও মেয়েকে পড়ালেখা করাচ্ছি । খরচ মিটিয়ে সংসারের হাল ধরে আছি এ ব্যবসা থেকেই।
মেয়ে ও ছেলেরা পড়ালেখা করছে। তিনি আরও বলেন,ইচ্ছে করলেও এ ব্যবসা ছেড়ে দিতে পারিনি। প্রায় ২৪ বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের হাল ধরে রেখেছি। বর্তমানে আমার প্রতিষ্ঠানে ৪ জন কারিগর আছেন। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি লেপ তৈরি হয়ে থাকে। ৪-৫ হাত মাপের তৈরি লেপ ১২শ টাকা থেকে ১৪শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে।
লেপ তোশক তৈরির কারিগর সোহাগ বলেন,আমি ২২ বছর যাব লেপ তোশকের কারিগর হিসেবে কাজ করে আসছি। এ পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যেতে মন চায় না। বাবার সূত্র ধরেই আমি ১৫ বছর ধরে এ পেশার সঙ্গে জড়িত। কারিগর মো. অলিয়ার রহমান বলেন ,শীত আসার আগেই মানুষ লেপ-তোশক বানাতে শুরু করে দিয়েছে। আমরাও ব্যস্ত সময় পার করছি। শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসা আরও বৃদ্ধি পাবে। মনে হয় এ বছর আয় রোজগার ভালোই হবে।
চরফ্যাশন উপজেলা সদরে লেপ কিনতে আসা শাহিন হাওলাদার জানান, শীত এসে গেছে বাসায় ব্যবহারের জন্য লেপ কিনতে এসেছি তবে গত বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি মনে হচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে লেপ কিনতে আসা লোকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিগত কয়েকবছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি।
চেয়ারম্যান বাজারে কথা হয় লেপ-তোষক কিনতে আসা জাহানপুর ইউনিয়নের মাওলানা মোঃ জাকির হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, শীত পড়তে শুরু করেছে। বেশি শীত পড়ার আগেই নতুন লেপ-তোষক তৈরি করতে এসেছি। কিন্তু তুলা, কাপড় ও কারিগরের মুজুরি বেশি হওয়ায় দুটোর স্থলে একটা বানিয়ে নিলাম।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host