হিজলায় স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে একেরপর এক বসতবাড়ি

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ৬, ২০২০ | ৯:০৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:: বরিশালে হিজলা উপজেলার সাথে বাউশিয়ায় এভাবেই প্রতিদিন স্রোতে তলিয়ে যাচ্ছে একেরপর এক বসত বাড়ি জুলাইয়ের শুরুতেই বর্ষা মৌসুমে বরিশালের হিজলা উপজেলার বাউশিয়া গ্রামের অর্ধশত পরিবার গৃহহীন। নদী শাসনের গুরুত্ব নেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের।

হিজলা উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম উত্তর বাউশিয়া, বাহেরচর এবং দক্ষিণ বাউশিয়া। রাক্ষুসী মেঘনা এবং তিনটি গ্রাম, এরা পরস্পর লড়াই করছে দীর্ঘবছর ধরে। রাক্ষুসী মেঘনার সাথে লড়াই করে পরাজিত গ্রাম তিনটি। এখন নাম আছে গ্রাম নেই,। তারপরেও নদীর কিনারায় দাঁড়িয়ে আছে সরকারি বেশ কিছু বিদ্যালয়, মসজিদসহ সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা জমি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমীনুল ইসলাম জানান, যে সকল মানুষ গুলো গৃহহারা হয়েছে, যাদের ভিটেমাটি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, তাদের তালিকার জন্য ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড বাঁধ নির্মানের কাজ করবে। বিষয়টি তাদের পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলাপ হয়েছে।

মাত্র কয়েদিনের পানি বৃদ্ধিতে উপজেলার পার্শ্ববর্তী গ্রাম বাউশিয়ার অধিকাংশ ঘরবাড়ি, সুপারিবাগান, ফসলি জমি, বৈদ্যুতিক খুঁটি নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। দিনরাত কাজ করছেন পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। হিজলা উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি মোঃ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, বিগত বছর নদী ভাঙনের কারণে একটি লাইন নতুন করতে হয়েছে। এ বছর আবার নদী ভাঙ্গনের কারণে ঐ লাইন তুলে ফেলতে হয়েছে। নদী বাঁধে গতি না এলে এ বছরই গ্রামটি নদীগর্ভে বিলীন হবে।

ইতোমধ্যে উদ্ধার হয়েছেন শহিদ বেপারী, কাজল হাং, ফরিদ শিকদার, পরান বেপারী, ফারুক বেপারী, কদম আলী খান, মিলন খান, কুদ্দুছ বেপারী, শাহজাহান খানসহ অর্ধশত পরিবার। চোখের জলে কাঁদলেন শতবছরের পুরোনো বাড়ির মালিক কাইয়ুম খান। চোখ মুছতে মুছতে এই প্রতিবেদককে বললেন, আজ নদীরক্ষার ধীরগতির কারণে আমার শত বছরের স্মৃতি মুছে গেল। রাক্ষুসী মেঘনা তাড়িয়ে দিল ছেলে সন্তান, পরিবারসহ বাউশিয়া গ্রাম থেকে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host