দশমিনায় দরিদ্রের ভিজিডি কার্ডের চাল গ্রামপুলিশ সদস্যের পেটে

প্রকাশের তারিখ: ডিসেম্বর ১, ২০২২ | ১২:০২ পূর্বাহ্ণ

দশমিনা (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা।। পটুয়াখালীর দশমিনায় এক গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে ২২ মাসের ভিজিডি চাল আতœসাৎ এর অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বিরুদ্ধে ভিজিডি কার্ডের তালিকা ভুক্ত ভুক্তভোগি নারী বাদী হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের ৮নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ মো. শামিরুল ২০২০ সালে মোসা. মনিরা বেগমের জাতীয় পরিচয় পত্র সংগ্রহ করে নিজের স্ত্রী পরিচয়ে ভিজিডি নামের তালিকায় অন্তভুক্ত করিয়ে দীর্ঘ ২২ মাস যাবৎ ইউপি থেকে চাল উত্তোলন করে ভোগ করে আসছে। যাহার অনলাইন নং-১৯৮ এবং চাল বিতরন তালিকায় নং-৯৯। এদিকে অভিযোগে আরো বলা হয়েছে গ্রাম পুলিশ মো. শামিরুল একই বছর মোসা. আমেনা বেগম এর জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ভিজিডি নামের তালিকায় অন্তভুক্ত করিয়ে দীর্ঘ ২২ মাস যাবৎ ইউপি থেকে চাল উত্তোলন করে ভোগ করে আসছে। যাহার অনলাইন নং-২২৩ এবং চাল বিতরন তালিকায় নং-১১৪।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মনিরা বেগম বলেন, আমি ও আমার স্বামী মো. বাচ্চু গাজী ঢাকায় বসবাস করে আসছি। আমার স্বামী রাজ যোগালি কাজ করেন আর আমি অন্যের বাসাবাড়িতে কাজ করি। গত কোরবানিতে স্ব-পরিবারের বাড়িতে চলে আসি। চলমান ভিজিডির অনলাইল আবেদন করতে আলীপুরা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্যকেন্দ্রে গেলে আমার জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর দিয়ে আবেদন করতে গেলে বলা হয় আমার আইডি দিয়ে ভিজিডি চাল ভোগ করা হচ্ছে এ আইডি দিয়ে দ্বিতীয় বার ভিজিডির জন্য আবেদন করা সম্ভব হচ্ছেনা। এরপর আমি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান সাগরকে জানাই। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান। পরে আমি অনেক খোজ করার পর জানতে পারি আমার ওয়ার্ডে গ্রাম পুলিশ মো. শামিরুল আমার জাতীয় পরিচয় পত্র ব্যবহার করে ২২ মাস পর্যন্ত ভিজিডি চাল ভোগ করে আসছে। আমি এবং আমার স্বামী জানতে চাইলে আমাদের খুনকরার হুমকি দেয়। আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। শামিরুল আমার আইডি কার্ডে আমার স্বামীর নাম পরিবর্তন করে তার নাম ব্যবহার করে এবং তার স্ত্রী আমেনা বেগমের আইডি কার্ড দিয়ে ভিজিডি নামের চাল ভোগ করে আসছে ২২ মাস।
মনিরার স্বামী বাচ্চু গাজী বলেন, আলীপুর ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের আমাদের ভোটার। আমি এবং আমার স্ত্রী অতি কষ্ট করে ঢাকায় পেটের তাগিদে কাজ করে থাকি। বাড়ি চলে আসি এখন দিন আনি দিন খাই কখনো না খেয়ে থাকি । কি ভাবে শামিরুল পারে আমার স্ত্রীর আইডি কার্ড নিয়ে আমার নাম পরির্বতন করে তার নাম ব্যবহার করে দীর্ঘ ২২ মাস চাল ভোগ করে। আমি এই কথা জানতে চাইলে আমাকে মারধর করবে বলে গালমন্দ করে তারিয়ে দেয়। আমি এই গ্রাম পুলিশ শামিরুলের বিচার চাই।
এ বিষয়ে আলীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আদিকুর রহমান সাগর বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি আর জরুরি কাজে রয়েছি। তবে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host