সেমিফাইনালে যুদ্ধ হবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া ! বাদ পড়লো ব্রাজিল-নেদারল্যান্ডস

প্রকাশের তারিখ: ডিসেম্বর ১০, ২০২২ | ৮:৩১ পূর্বাহ্ণ

বাণী ডেস্ক: লিওনেল মেসি গোল করালেন, সফল স্পট কিকে খুঁজে পেলেন জাল। তাতে পথেই ছিল আর্জেন্টিনা। শেষদিকে নেদারল্যান্ডসের বদলি নামা ওউট ওয়েঘর্স্ট দিলেন গোল বেধে! জোড়া গোল করে ছড়ালেন রোমাঞ্চ। অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো নাটকীয়তা থাকল ২-২। ম্যাচ শেষ পর্যন্ত গেল টাইব্রেকারে। সেখানে এমিলিয়ানো মার্টিনেজের নায়কোচিত পারফর্মে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে সেমিফাইনালে গেছে আর্জেন্টিনা।
ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার মাঝে প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালেও টাইব্রেকারে ফল হয়েছে। তাতে জিতেছে ক্রোয়েটরা, তারা সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ। ১৪ ডিসেম্বর লুসেইলেই শিরোপার মঞ্চ নিশ্চিতের লড়াইয়ে নামবে আর্জেন্টিনা-ক্রোয়েশিয়া, খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত একটায়।
শুক্রবার রাতে লুসেইল স্টেডিয়ামে নির্ধারিত সময় ছাপিয়ে অতিরিক্ত সময়েও থাকে ২-২ সমতা। টাইব্রেকারে আর্জেন্টিনার জয়ের নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ঠেকিয়ে দিয়েছেন ডাচদের প্রথম দুটি শট।
আর্জেন্টিনার হয়ে চতুর্থ শট নেয়া এনজো ফের্নান্দেজ গোল করতে ব্যর্থ হলেও প্রথম তিন শটেই বল জালে জড়িয়ে পথ এগিয়ে রাখেন মেসি, পারেদেস ও মন্টিয়েল। পঞ্চম শটে লৌতারো মার্তিনেজ জাল খুঁজে পেলে জয়ের উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনা।
বল দখলে পিছিয়ে থাকলেও ডাচদের চেয়ে গোলে শট, পাসিং-সহ প্রায় সব বিভাগে এগিয়ে ছিল লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। কাতারের সবচেয়ে বড় ভেন্যুটিতে ৫১ শতাংশ বল দখলে রাখা লুইস ফন গালের শিষ্যরা আর্জেন্টিনার গোলমুখে রাখে তিনটি শট। বিপরীতে ১০টি শটের পাঁচটিকে লক্ষ্যে রাখেন মেসি-মোলিনারা।
ম্যাচের ৩৫ মিনিটে মেসির দুর্দান্ত ক্রস থেকে মোলিনা দলকে এগিয়ে নেয়ার পর ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান মেসি। দশ মিনিট পর ওয়েঘর্স্টের হেডে বল জাল খুঁজে নেয়, পরে যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে সমতা টেনে দেন তিনি।
কোয়ার্টার পর্যন্ত অপরাজিত থাকা ভার্জিল ফন ডাইকের দলের বিপক্ষে এদিন আক্রমণে ছড়ি ঘুরিয়েছে মেসি-বাহিনী। ডাচ রক্ষণদূর্গে কাঁপন ধরানোর ধারাবাহিকতায় ৩৩তম মিনিটে লক্ষ্যে প্রথম শট নেয় আর্জেন্টিনা। তবে রদ্রিগো ডে পলের বক্সের বাইরে থেকে নেয়া দুর্বল শট যায় গোলরক্ষক বরাবর।
দুই মিনিট পরই উল্লাসে মাতে আর্জেন্টিনা। রক্ষণ ভেদ করে ঝলক দেখান মেসি। ডান দিক দিয়ে ওঠা আক্রমণে একটু আড়াআড়ি বাঁ-দিকে গিয়ে বাড়ান রক্ষণচেরা পাস। ডি-বক্সের মুখে প্রথম ছোঁয়ায় বল ভেতরে টেনে দ্বিতীয় টোকায় এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে ফাঁকি দেন মোলিনা। প্রথমার্ধে দাপট দেখিয়ে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় স্কালোনির দল।
শুরুর অর্ধে দুর্দান্ত গোল করানো মেসি দ্বিতীয়ার্ধে থাকেন আরও আক্রমণাত্মক। ৬৩ মিনিটে তার ফ্রি-কিক গোলবারের খুব কাছ দিয়ে যায়। আফসোস অবশ্য বেশি সময় থাকেনি। ৭২ মিনিটে আর্জেন্টিনার পক্ষে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। আকুনাকে কড়া ট্যাকল করে বসেছিলেন ডামফ্রিস। স্পট কিক থেকে ৭৩ মিনিটে লিড বাড়িয়ে নেন মেসি।
ম্যাচের ৮০ মিনিটে মেম্ফিস ডিপাইকে তুলে ওয়েঘর্স্টকে নামান ফন গাল। নাটকের শুরুটা তখন থেকেই। বদলি নামা ওউট ৮৩ মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে ২-১ করে দেন স্কোর।
আর্জেন্টিনাকে জয়ী ঘোষণা করতে যখন দশ সেকেন্ড বাকি, তখন নাটক আরও জমিয়ে দেন ওউট। বক্সের সামনে বিপজ্জনক জায়গায় পাওয়া ফ্রি-কিকের পূর্ণ স্বাদ তোলে কমলা জার্সিধারীরা। বার্গুসের নেয়া সেই মাটি গড়ানো ফ্রি-কিকেই বদলে যায় ম্যাচের রং, ওউটের জোড়া গোলে সমতায় ফেরে দুদল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য শেষ হাসি ডাচদের মিলল না।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host