সরিষার হলুদ ফুলে দুলছে কৃষকের রঙিন স্বপ্ন

প্রকাশের তারিখ: জানুয়ারি ২২, ২০২৩ | ৮:৫১ অপরাহ্ণ

দিগন্ত বিস্তৃত হলুদে ছেয়ে গেছে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ফসলি মাঠ। চারদিকে সরিষার হলুদের সমারোহ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় এবার সরিষার ব্যাপক আবাদ হয়েছে। উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা ১৪, ১৭ ও বিনা ৯ সহ বিভিন্ন প্রজাতির সরিষার আবাদ হচ্ছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা। এ বছর সরিষায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশা কৃষকের।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়েছে। এ বছর ৫০জন কৃষকে বিনামূল্যে সরিষার বীজ ও সার বিতরন করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যক্তি উদ্যেগে অনেকে পতিত জমিতে সরিষা চাষ করেছে।
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটখালী, যৌতা, আরজবেগী, আলীপুরা, বাঁশবাড়িয়া, গছানী ও বহরমপুরসহ বিভিন্ন গ্রামে সরিষার মাঠ ঘুরে দেখা যায়, নানা রঙের প্রজাপতিতে ভরে আছে সরিষার ক্ষেত।
উপজেলার দশমিনা সদর ইউনিয়নের কাটখালী গ্রামের সরিষা চাষি মো. রফিক হোসেন বলেন, আমন ধান কাটার পরে কৃষি জমি অনেকটা অলস পরে থাকে। সেই ফাঁকা মাঠে সরিষা চাষ করে জমির উর্বরতার রক্ষার পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ হয়।
উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের যৌতা গ্রামের ইমরান হোসেন বলেন, প্রতি বছর আমি সরিষার চাষ করে থাকি। এবছরও আমি প্রায় ৭হাজার টাকা সরিষার শাক বিক্রি করেছি। তিনি আরো বলেন, প্রায় এক মাসের মাথায় সরিষা শেষ হয়ে যাবে পুনরায় ওই জমিতে মুগডাল চাষ করে ভালো ফলনের আশা তার।
দশমিনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘এবারে উপজেলায় বিগত বছরের তুলনায় বেশি পরিমাণ জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। যথা সময়ে জমি চাষ যোগ্য হওয়ায় এলাকার কৃষকরা সুযোগ বুঝে সরিষা চাষ করেছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোনো প্রকার ক্ষতি না হলে উপজেলায় সরিষা আবাদের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় সরিষা চাষের জমিগুলো উর্বরতা বেশি থাকায় কৃষকরা বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।’

দশমিনা(পটুয়াখালী)সংবাদদাতা।।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host