তালতলীতে সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ

প্রকাশের তারিখ: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩ | ৭:১৩ অপরাহ্ণ

হারুন অর রশিদ আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নে তাঁতীপাড়া এলাকায় সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য মো. শাকিলের বিরুদ্ধে। এতে প্রবাহমান খালের দুই পাড়ে মাটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। গত শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয়ে এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত ৬ টি মাহিন্দ্রা ট্রাক্টরের মাধ্যমে ওই মাটি নিয়ে যেতে দেখা যায়।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সরকার থেকে বন্দোবস্ত নেয়া খাস জমির মধ্যে অবস্থিত তাঁতীপাড়া সরকারি খাল দীর্ঘদিন ধরে না কাটায় খাল তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে সরু হয়ে গেছে। ঠিক এমন সময়ে ওখানকার বর্তমান ইউপি সদস্য মো. শাকিল ও সাবেক ইউপি সদস্যরা মিলে এলাকার মানুষকে খাল কেটে ফসলি জমির উপকারের প্রলোভন দেখিয়ে বোকা বানিয়ে ভূমি অফিসের অগোচরে থেকে বিভিন্ন এলাকায় টাকার বিনিময়ে খালের মাটি বিক্রি করে।

স্থানীয়রা বলেন, ইউপি সদস্যরা মিলে মাটি কেটে বিক্রি করছে। এতে ফসলি জমির ক্ষতি হবে তবুও আমরা কিছু বলতে পারি না। তিনি ক্ষমতাশীন তাইতো পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি অফিসের অনুমতি না পেয়েও মাটি কেটে বিক্রি করছে। তারা আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট আইনের লোকেরাও ফায়দা লুটেছে। নয়তো কয়েকদিন ধরে মাটি কাটছে প্রশাসন নিরব কেনো? আমরা ১ টা সরকারি গাছ কাটলেও সমস্যা এখন ভেকু দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে ওর আসপাশের সব গাছ পালা নষ্ট হচ্ছে সেখানে প্রশাসন নিরব ভূমিকায়।

নিশানবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী বলেন, আমার একটা জমিতে মাটি লাগবে তাই আমি ইউপি সদস্য শাকিলকে কন্টাকে দেই সে কোথা থেকে মাটি এনে দিছে তা আমি জানিনা।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাকিল জানায়, এবছর কৃষকের জমির ধান বাড়ীতে নিতে পারে নি কেবল মাত্র পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায়। আমি এটার ব্যবস্থা করে কৃষকের উপকার করছি। তবে খালের মাটি বিক্রির ব্যপারে তিনি মন্তব্য করতে রাজি না।

নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু বলেন, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটা অথবা বিক্রি করার অনুমতি দেইনি।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর বলেন, আমি কাজ বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host