বাণী ডেস্ক: ৯০’র সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্র নেতা ও সাংবিধানিক অধিকার ফোরামের সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ আজ এক বিবৃতিতে বলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করে বলেছেন, খালেদা জিয়া রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। আইনের মারপ্যাচে বন্দী জীবন-যাপন করছেন। তাকে মুক্ত করে দেওয়া উচিত। তাকে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া উচিত। সরকারের উচিত হবে তার উপর থেকে রাজনৈতিক ও নির্বাচনে অংশগ্রহণে সকল বাধা দূর করে দেওয়া। শেখ হাসিনা সরকার যদি এই কাজটি করে তবে সরকারের নীতি নির্ধারকরা দেশে বিদেশে প্রশংসিত হবেন। দেশও মুক্ত হবে আসন্ন এক হানাহানী ও রক্তারক্তির হীন রাজনীতি থেকে। দেশে সৃষ্টি হবে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। দেশে প্রতিষ্ঠিতা পাবে উদার ও সমঝতা সমন্বয়ের রাজনীতি। আমাদের প্রিয় স্বদেশ আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে উন্নয়নের সার্বিক সমৃদ্ধির দিকে।
সুরঞ্জন ঘোষ আরো বলেন, গায়ের জোড়ে এবং পুলিশ প্রশাসনকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করে কতৃত্ববাদী কায়দায় দীর্ঘ সময় হয়তো দেশ চালানো যায়। তাতে অর্থনৈতিক এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন অগ্রগতিও এক ধাপ এগোয়। কিন্তু সমাজের গণতান্ত্রিক প্রথা পদ্ধতির মৃত্যু ঘটে। সমাজ ও রাজনীতির এই টুটিচাপা পরিস্থিতি শাসকের জন্য কখনোই সুদিন বয়ে আনে না। ইরাকের সাদ্দাম, লিবিয়ার কর্নেল গাদ্দাফি, মিসরের হোসনি মোবারক এবং আফ্রিকার দেশগুলোর কর্তৃত্ববাদী স্বৈরশাসকরা তার প্রমাণ। এমন কি রাশিয়া এবং পূর্ব ইউরোপের জনতোষীর কমিউনিষ্ট স্বৈরাচারীরাও এক সময়ে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে চরম পরিনতি ভোগ করেছেন। তাদের নাম নিশানা দুনিয়া থেকে খুব দ্রুতই মুছে গেছে। নিশ্চয়ই আমরা চাইবো না এই পরিস্থিতি।