নাজিরপুরে কালিগঙ্গার ভাঙনে রাস্তা ধসে পড়ায় ভোগান্তিতে ৩ গ্রামের মানুষ

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ৭, ২০২৩ | ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় কালিগঙ্গা নদীর ভাঙনে রাস্তা ধসে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তিন গ্রামের মানুষ। চলাচলের রাস্তার একটি অংশ ইতোমধ্যে ধসে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণ।

উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চলিশা গ্রাম থেকে জীবগ্রামের পাশ ঘেঁষে বয়ে চলা কালীগঙ্গা নদীর ভাঙনের কবলে পড়ে ভিটেমাটি ও বসতবাড়ি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে নদী তীরবর্তী দুই শতাধিক পরিবার। এ বছর শীতকালের শুরু থেকে নদীর পানি কমতে থাকলে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। এতে করে ইউনিয়নের বাবলা, চলিশা ও জীবগ্রামের শত শত পরিবার গৃহহীন হচ্ছে। আর বিলীন হয়ে যাচ্ছে যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি।

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক বছর ধরে এ নদীর ভাঙন বেড়েই চলছে। তবে গত দুই বছরের তুলনায় এ বছর ভাঙনের তীব্রতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। এরই মধ্যে দুই শতাধিক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে প্রতিদিন বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছে গ্রামবাসী। এ ছাড়াও আতঙ্কে রয়েছে চলিশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেসরাকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ছাড়াও মসজিদ ও মন্দির।

চলিশা গ্রামের ইয়াকুব আলী ফকির ও কলেজ শিক্ষার্থী জায়েদা জানান, গত বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে এ এলাকায় নদীভাঙন শুরু হয়। গত দুই মাস ধরে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়ায় আবাদি জমি, গাছপালা ও বাঁশঝাড় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত দু’সপ্তাহ থেকে আমাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও বিলীন হওয়ার পথে। এভাবে ভাঙতে থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে আমাদের বসতভিটাও নদীতে বিলীন হয়ে যাবে।

শ্রীরামকাঠী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বেপারী জানান, ইতোমধ্যে ভাঙনে বহু স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়েছে। গত এক মাসে ভাঙনের তীব্রতা বেড়েছে কয়েকগুণ। অনেক পরিবার তাদের বাড়িঘর অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে। দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে বিলীন হয়ে যেতে পারে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের এ তিন গ্রামের অস্তিত্ব¡। আমার পরিষদের পক্ষ থেকে ভাঙন রোধে অতি দ্রুত যতটুকু সম্ভব কার্যকার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মাওলা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, শ্রীরামকাঠীর কালিগঙ্গা নদীর ভাঙন রোধসহ জেলার আরো চারটি নদীর ভাঙন রোধে ৬৫৪ কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host