বরগুনায় নেশার টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে মারধর, হাসপাতালে ভর্তি

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ৯, ২০২৩ | ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

বরগুনা প্রতিনিধি ::: বরগুনার আমতলীতে নেশা করার জন্য টাকা এনে না দেওয়ায় সীমা বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠেছে স্বামী সবুজ ফকিরের বিরুদ্ধে।

বুধবার (০৮ মার্চ) রাতে ও বৃহস্পতিবার (০৯ মার্চ) সকালে আমতলী সদর ইউনিয়নের উত্তর টিয়াখালী গ্রামে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে উত্তর টিয়াখালী গ্রামের হাফেজ ফকিরের ছেলে সবুজ ফকিরের সঙ্গে একই উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের হলদিয়া গ্রামের সোনা মিয়া আকনের মেয়ে সীমা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় মেয়ের বাবা সংসারের যাবতীয় মালামাল দিয়ে দেন। শ্বশুর বাড়ি থেকে নগদ পাওয়া ২০ হাজার টাকা নেশা করেই শেষ করে দেন সবুজ ফকির। এরপরও সংসারে বিভিন্ন সমস্যা ও কারণ দেখিয়ে স্ত্রী সীমা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য মারধর করতেন তিনি। বুধবার সন্ধ্যায় স্ত্রী সীমাকে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে বলেন সবুজ। সীমা টাকা এনে দিতে রাজি না হওয়ায় তাকে ঘরে আটকে গাছের ডাল দিয়ে মারধর করেন সবুজ। এ সময় তিনি অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে যান। পরের দিন বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) সকালে ফের তাকে টাকার জন্য মারধর করেন। এক পর্যায়ে স্বজনদের মাধ্যমে খবর পেয়ে সীমাকে উদ্ধার করে আমতলী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন পুলিশ।

আহত গৃহবধূ সীমা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই নেশার টাকার জন্য মোরে ব্যামালা মাইর ধইর করে। এর মধ্যে মোর একটা পোলা হয়। হেইয়ার মুহের দিকে তাহাইয়া এতোদিন চুপ কইরা রইছি। কাইল ও আইজ ২০ হাজার টাহার লইগ্যা মোরে ব্যামালা মাইর ধইর হরছে। মুই এইয়ার বিচার চাই।

এদিকে অভিযুক্ত স্বামী সবুজ ফকির স্ত্রীকে মারধর এবং টাকা চাওয়ার কথা অস্বীকার করেন।

আমতলী হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মেহেরিন আশরাফ ঐশী বলেন, সীমার তলপেট, হাত ও পিঠে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম মিজানুর রহমান বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে আহত গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host