বাবুগঞ্জে হেফাজতে নারী নির্যাতন: ৩ পুলিশ ক্লোজড, তদন্ত শুরু

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ২১, ২০২৩ | ৮:০৫ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশালে থানা হেফাজতে ৩ নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে বাবুগঞ্জ থানার ৩ পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তও শুরু হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বাবুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

অভিযুক্ত ৩ পুলিশ হলেন-বাবুগঞ্জ থানার এএসআই নাসির উদ্দিন, সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. খলিলুর রহমান ও পুলিশ কনস্টেবল নিপা রানী বৈদ্য।

থানা হেফাজতে ৩ নারীকে নির্যাতনের অভিযোগে আদালতের আদেশে গত শনিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। ওসি মো. মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

গত ৩ মার্চ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ দেহেরগতি গ্রামে রানীর স্কুল সংলগ্ন এলাকায় রাতে লাউডস্পিকার বাজানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ আকাশি বেগম, রাশিদা বেগম ও মালা বেগমসহ ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। পরে ১২ মার্চ আকাশি বেগম, রাশিদা ও মালা বেগমকে আদালতে হাজির করা হলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহফুজুর রহমানের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে তারা মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন।

থানা হেফাজতে বাবুগঞ্জ থানার নারী পুলিশ সদস্য নিপা রানী, সেকেন্ড অফিসার ও এএসআই নাসিরসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাদের লাঠি দিয়ে পিটিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তারা।

পরে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-৩ আদালতের (বাবুগঞ্জ আমলি আদালত) বিচারক মো. নুরুল আমিন সেদিনই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি মামলা দায়েরের আদেশ দেন।

আদেশে সংযুক্ত একটি প্রতিবেদনে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বক্তব্য পর্যালোচনা করে উল্লেখ করা হয়েছে, আকাশি বেগম, রাশিদা বেগম ও মালা বেগমের হাত-মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন আছে।

নির্যাতনের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করা হয়েছে বাবুগঞ্জ–উজিরপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদারকে।

জানতে চাইলে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে আমাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে চার্জশিট দেওয়া হলে পুলিশ সদস্যরা যদি অভিযুক্ত হন, আদালতের ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host