মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ওয়েবসাইটে ইতিহাস বিকৃতি

প্রকাশের তারিখ: মার্চ ৩০, ২০২৩ | ৭:২০ অপরাহ্ণ

নাজমুল হক সানী: ডিজিটাল ব্যবস্থার সুফল নিয়ে দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে সরকারের প্রচারণার কমতি নেই। কিন্তু বরিশালে মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার ওয়েবসাইটের অবস্থা এখনো বেহাল অবস্থা। সন্নিবেশিত তথ্যর কোন মিল নেই। পৌরসভার ইতিহাস বিকৃতি করে অন্য জেলার ইতিহাস ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এসব তথ্যে বিভ্রান্তি ও চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা।
সম্প্রতি মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং অধীনস্ত দফতর ও সংস্থার ওয়েবসাইট হালনাগাদ রাখার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ এর ৪ ধারা অনুযায়ী তথ্য পাওয়া নাগরিকদের অধিকার। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশযোগ্য সকল হালনাগাদ তথ্য প্রদানের নির্দেশনা দেয়ার কথা থাকলেও মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার কোন হালনাগাদ তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা নেই।
পৌরসভার ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য না থাকায় এসব সাইটে কোন কর্মকর্তা ও কর্মচারীর নাম ও নাম্বার আপলোড করা নেই ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অনেক ভিজিটরকে। পৌরসভার ওয়েবসাইট ভিজিট করে কোন কর্মকর্তার নাম ও মোবাইল নাম্বার এবং নাগরিক সেবার কোন তথ্য পাওয়া যায় না।
পৌরসভার ওয়েবসাইট ভিজিটর করলে দেখা যাবে
পৌরসভার পরিচিত হিসেবে হিসেবে ১৯৮৪ সালের কুড়িগ্রাম মহুকুমার সৃষ্টির তথ্য দেওয়া।
মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভা শিল্প ও বাণিজ্য প্রসারের মেহেন্দিগঞ্জ বিসিক উল্লেখ ভুমিকা রেখে বলা হয় কিন্তু বাস্তবে আদৌও কোন বিসিক ছিলো না মেহেন্দিগঞ্জে।
মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার সংক্ষিপ্ত ইতিহাসে যা দেওয়া হয়েছে। কিছু অংশ তুলে ধরা হলো। সাবেক বিক্রমপুর পরগনার অন্তর্গত প্রমত্তা পদ্মার দক্ষিণ পাড়ের অধিকাংশ এবং উত্তর পাড়ের আংশিক নিয়ে শরীয়তপুর জেলার সর্বাধিক অর্থাৎ ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে নড়িয়া উপজেলা । সবচেয়ে বড় উপজেলা হিসেবে সবচেয়ে বড় ইউনিয়ন যার মৌজা সংখ্যা ৪ (চার) এবং থানা সদর ইউনিয়ন খ্যাত নড়িয়া পৌরসভা। ঢাকা হতে সড়ক পথে যার দুরত্ব মাত্র ৫৯ কিঃ মিঃ । উক্ত তথ্য সবই ভুল দেওয়া হয়েছে।
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) বরিশালে সভাপতি প্রফেসর শাহ সাজেদা বলেন তথ্য জানা নাগরিক অধিকার। ভুল তথ্য দিয়ে নাগরিকদের মধ্যে বিভ্রান্ত তৈরি করা ঠিক না। সেটা যেভাবে হোক অফিসের মাধ্যমে বা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে। তথ্য জানতে নাগরিকের ভোগান্তি হলে তা নাগরিকের অধিকার ক্ষুন্নের সামিল।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর মেয়র কামাল হোসেন খানের কাছ থেকে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বরিশাল জেলা প্রশাসক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন নিজ নিজ অফিসসহ অধীন সংযুক্ত অফিসের ওয়েবসাইট হালনাগাদ রাখার নির্দেশনা মন্ত্রী পরিষদের চিঠিতে বলা হয়, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানে তথ্য প্রযুক্তির কোন বিকল্প নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পাচ্ছে গ্রামীণ পর্যায়। সরকারি ওয়েবসাইটে হালনাগাদ তথ্য না থাকলে নাগরিক সেবা ব্যবহত হয়। নাগরিক সেবা নিশ্চিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচেতন হওয়া উচিত।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host