গলাচিপায় সংস্কারের অভাবে বিলুপ্তির পথে মনসা মন্দির

প্রকাশের তারিখ: জুন ১০, ২০২৩ | ৮:৩৬ অপরাহ্ণ

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার গোলখালী ইউনিয়নের হরিদেবপুর স্নান ঘাটের পশ্চিম পাশে কেশব চন্দ্র দাসের বাড়িতে অবস্থিত পুরনো মনসা মন্দির সংস্কারের অভাবে ধ্বংসের পথে। মন্দিরটির বর্তমান ভঙ্গুর অবস্থার কারণে ভক্তদের জন্য ধর্মীয় কার্যাদি করা বেশ কষ্টকর ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। টিন ও কাঠের তৈরি মনসা মন্দিরটির ভিতরের অবকাঠামো এতটা পুরনো যে এর টিনের বেড়া, চাল, খুঁটি ভেঙে পড়ছে। সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। মন্দির সুরক্ষায় নেই কোন পাকা ইমারত, প্রাচীর কিংবা বেড়া। অর্থের অভাবে হচ্ছে না মন্দিরের সংস্কার কাজ। এ বিষয়ে মনসা মন্দিরের ভক্ত শরত চন্দ্র দাস, মাধব চন্দ্র দাস, অপু রানী, শিকু রানী এরা বলেন, প্রতি বছর এখানে পূজা হয়। আমরা পূজায় অংশগ্রহণ করি। বৃষ্টি এলেই আমাদের ভক্তদের অনেক কষ্ট করতে হয়। মন্দির প্রাঙ্গনেই ভিজতে হয় আমাদের। সবথেকে বেশি কষ্ট হয় দূর থেকে আগত ভক্তদের। মন্দির কমিটির সভাপতি কেশব চন্দ্র দাস বলেন, ২০-২৫ বছরের পুরনো মনসা মন্দির এটি। অর্থের অভাবে মন্দিরের কোন কাজ করতে পারি নাই। সংস্কার কিংবা পাকা ভবন করতে হলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। সরকারি খাস জায়গায় অবস্থিত। এ বছরে মা মনসা মন্দিরের নামে ৪ শতক জায়গা স্থায়ী ভাবে বরাদ্দ (ডিসিআর) পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমির কাছে আবেদন করেছি। এ বিষয়ে মনসা মন্দিরের পুরোহিত মালতী রানী বলেন, ২৪/২৫ বছরের পুরনো মন্দিরে আমি মা মনসার পূজা করে আসছি। মায়ের মন্দিরের জায়গা ও ঘরটি সরকারিভাবে পাকা করা হলে ভক্তদের আর কোন কষ্ট হবে না। এর জন্য যে অর্থের প্রয়োজন তা স্থানীয়ভাবে জোগান দেয়া অসম্ভব। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দানশীল ব্যক্তিদের প্রতি আবেদন যাতে মন্দিরটি সংস্কার করে যেন রক্ষা করা হয়। এ বিষয়ে গোলখালী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নাসির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, মন্দিরটি অনেক পুরনো। এটা পুনঃনির্মাণ করা জরুরি। সরকারি সহযোগিতা পেতে মন্দির কমিটির লোকজন মারফত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর সহায়তার আবেদন করা হবে। তিনি সমাজের বিত্তশালী ধর্মীয় অনুরাগীদের সহায়তা দেয়ার জন্যও অনুরোধ জানান।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host