কাজিপুরে ৪০ মিটার সলিড স্পার নদীগর্ভে বিলীন,হুমকির মুখে সরকারি ৫টি প্রতিষ্ঠান

প্রকাশের তারিখ: জুলাই ৮, ২০২৩ | ৬:৪১ অপরাহ্ণ

সেলিম শিকদার সিরাজগঞ্জঃ-
উজান থেকে নেমেআসা পাহাড়ি ঢল ও কদিনের অবিরাম বর্ষণে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে
ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়ে নদীতীরবর্তী স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ধসে গেছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের সলিড স্পারের অন্তত ৪০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

চলতি বর্ষা মৌসুমে দেশের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কদিনের অবিরাম বর্ষণের ফলে দেশের উজানের প্রায় সব-কটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে যমুনা নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধির ফলে নদীতে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়ে নদীতীরবর্তী বিভিন্ন স্থানে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।

৭ জুলাই শুক্রবার ভোরে কাজিপুর যমুনা নদীর তীরবর্তী মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকাতে
এ ধস দেখা দেয়ায় স্পারের অন্তত ৪০ মিটার এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এতেকরে স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। এ বাঁধটি পুরোপুরি ধসে গেলে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান ।

কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টির ফলে নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বেড়েছে।
যমুনা নদীর পানি ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধির ফলে শুক্রবার (৭ জুলাই) ভোরেট দিকে মেঘাই ১ নম্বর সলিড স্পার এলাকায় ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়, এতে মুহূর্তেই স্পারের ৩০/৪০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এসময়ে তিনি আরও বলেন, এ স্পারটি সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হলে কাজিপুর থানা, খাদ্য গুদাম,
ভুমি-রেজিস্ট্রি অফিস, কাজিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে পড়বে।

কাজিপুর উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী অনিক ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বিপ্লব আমাকে স্পার ধসে যাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। পাউবোর লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান জানান, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে চলে এসেছি। সলিড স্পারের অন্তত ৪০ মিটার এলাকা ধসে গেছে। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলে ধস ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।

উল্লেখঃ-১৯৯৭ সালে কাজিপুর উপজেলা রক্ষায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের প্রচেষ্টায় নদীতীরবর্তী মেঘাই খেয়াঘাট এলাকায় ৩০০ মিটার স্পার নির্মাণ করা হয়। ২০১২ ও ২০১৩ সালে স্পারটির মূল অংশের ১৫০ মিটার ধসে যায়। পরে স্পারের মাটির অংশটুকু রক্ষায় সিসি ব্লক দিয়ে ভাঙ্গন রোধ করা হয়। শুক্রবার সেই অংশের ৪০ মিটার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছ।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host