নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল বিমান বন্দর সংলগ্ন তিনটি গ্রামে জমি অধিগ্রহণের খবরে সরকারের কাছ থেকে বেশি টাকা পাবার আশায় ঘরবাড়ি তৈরির হিড়িক পড়েছে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন স্থানীয়রা। এটিকে বৈধ করতে হোল্ডিং নম্বর দেয়ার জন্য ইউনিয়ন পরিষদকে চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় চেয়ারম্যান। জেলা প্রশাসক বলছেন, কোনো অনৈতিক কর্মকান্ডকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না।
বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি ঘাঁটি স্থাপনের জন্য বিমান বন্দর সংলগ্ন প্রায় ১শ ৫৮ একর জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন। গত ১৩ জুলাই একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে ঐ জমিতে নতুন কোনো স্থাপনা তৈরি থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়। এরপরই অতিমাত্রায় তৎপর হয়ে ওঠেন জমির মালিকরা। দিনরাত চলছে এলাকায় ঘরবাড়ি তৈরির কাজ। সরকারের কাছ থেকে বাড়তি টাকার আশায় দ্রুত ঘর তোলা হচ্ছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
আর বিষয়টি আইনগতভাবে বৈধ করতে ইউনিয়ন পরিষদকে হোল্ডিং নম্বরের জন্য চাপ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন বরিশাল বাবুগঞ্জ ৫নং রহমতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সরোয়ার মাহামুদ।
তবে বরিশাল জেলা প্রশাসন এম.এম অজিয়র রহমান বলছে, অধিগ্রহণের জন্য প্রস্তাবিত জমির ভিডিও চিত্র ধারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হবে।
বরিশাল বিমান বন্দর সংলগ্ন উত্তর রহমতপুর মৌজার ৪৮.২৪, খা-পুরা মৌজার ৭৯ এবং মানিককাঠি মৌজার ৩০.৭০ সহ মোট ১’শ ৫৭.৯৪ একর জমি অধিগ্রহণ করবে সরকার।