সুপারকে লাথি দিয়ে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিতে চায় কমিটির সদস্য

প্রকাশের তারিখ: ডিসেম্বর ৩১, ২০২৩ | ৪:৫৮ অপরাহ্ণ

দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি।।
পটুয়াখালীর দশমিনায় মাদ্রাসার সহ-সুপারকে লাথি দিয়ে মাদ্রসা থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্যর বিরুদ্ধে। রবিবার বেলা ১১টায় উপজেলার বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া আবদুল গনি মহিলা দাখিল মাদ্রসায় এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, উপজেলার বাশঁবাড়িয়া ইউনিয়নের দক্ষিন দাসপাড়া আবদুল গনি মহিলা দাখিল মাদ্রসায় জরুরী সভায় মাদ্রসায় প্রথম থেকে পঞ্চম এবং ৬ষ্ট শ্রেনীতে কাম্যসংক্ষক শিক্ষার্থী ভর্তী না হওয়ায় এবং ১লা জানুয়ারি বই উৎসবসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনার এক পর্যায় ওই মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও বর্তমান সভাপতি লাইজু আক্তার স্বামী, অভিভাবক সদস্য, বর্তমান ১৪৫ নম্বর চর বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তারিকুল ইসলাম সাহিদ চেয়ার থেকে উঠে ওই মাদ্রাসার সহকারি সুপার মাওলানা মজিবুর রহমানকে লাথি মেরে মাদ্রাসা থেকে বের কারার হুমকি দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে।
এবিষয়ে সহ-সুপার মাওলানা মুজিবুর রহমান বলেন, সুপার সাহেব সভা ডাকছে। মাদ্রাসার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। আমি মাদ্রসার সহ-সুপার আমার মতামত থাকতে পারে । আমি কথা বলতে গেলে আমাকে কোন কথা না বলার জন্য বলে সাহিদ। আমি কারন জানতে চাইলে সুপার, উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীর সামনে সাহিদ তার চেয়ার থেকে উঠে আমার সামনে এসে আমাকে লথি মারতে মারতে মাদ্রাসা থেকে বের করে দিবে ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে। আমি অভিযোগ আকারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানাবো। বাড়ির দড়জায় মাদ্রাসা বলে প্রায় সময় শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচারন কওে এ সাহিদ।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আলতাফ হোসেন বলেন, জরুরী সভা ডাকা হয় সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ছিল। আলোচনার এক পর্যায় তারিকুল ইসলাম সাহিদ মাদ্রাসার সহকারি সুপারকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে এবং লাথিমেরে মাদ্রাসা থেকে বের করে দেয়ার কথা বলে। এটা একজন শিক্ষকের জন্য মানসন্মানহানী কর। আমি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে বলার জন্য বলছি।
এবিষয়ে মাদ্রাসার সভাপতি লাইজু আক্তার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। এ রকম আচরন করা কোন ভাবেই নীতীবাচক নয়। আমি সুপার সাহেবের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি দেখছি।
এ বিষয়ে তরিকুল ইসলাম সাহিদকে একাধিকবার ব্যক্তিগত মোবাইলে ফোন দিলে রিসিভ না করার কারনে কোন বক্তব্য দেয়া সম্ভাব হয়নি।
এবিষয়ে উপজেলা মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম ছিদ্দিকি বলেন আমাকে এ বিষয়ে সহসুপার মাওলানা মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন। মাদ্রসার সহ সুপারকে মিটিংএ এ ভাবে অসন্মানজনক কথা বলা সত্যি দুঃখজনক। আমি নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয়কে জানাতে বলেছি।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেলিম মিয়া জানান আমি বিষয়টি এখনো পর্যন্ত জানিনা। বিষয়টি এমন হলে সত্যি দুঃখ জনক। আভিযোগ পেলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এবিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হিটলারুজ্জামান বলেন, তিনি একজন প্রধান শিক্ষক কোন ভাবেই কমিটির সদস্য হতে পারেনা। যদি সহ-সুপারের অসন্মানজনক আচরন ও অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করে থাকে তা দুঃখ জনক। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।

© 2023 বরিশাল বাণী কতৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed by Eclipse Web Host