১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

করোনায় একদিনে ৫ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি, আক্রান্ত লক্ষাধিক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

 

বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ আক্রান্তে হচ্ছেন প্রাণসংহারি ভাইরাসটিতে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশে করোনা প্রকোপ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বুধবার একদিনে বিশ্বে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এক লাখের মতো। গতকাল সারাবিশ্বে এক লাখ ৪ হাজার ৯৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন ৫২০২ জন। করোনাভাইরাস নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এই তথ্য জানিয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত করোনায় বিশ্বব্যাপী করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন লাখ ৫৭ হাজার ৪২৫ জনে এবং আক্রান্তের সংখ্যা ৫৭ লাখ ৮৮ হাজার ৭৮২ জন। অপরদিকে ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৬ জন চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে এই মহামারি শুরু হলেও ইউরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রে তাণ্ডব চালিয়েছে করোনাভাইরাস। এখন এর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছে রাশিয়া, ব্রাজিল ও ব্রিটেন।

আক্রান্ত ও নিহতের সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ লাখ ৪৫ হাজার ৮০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে এক লাখ দুই হাজার ১০৭ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৯০ হাজার ১৩০ জন।

আক্রান্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে চলে এসেছে ব্রাজিল। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬৬১ জন, মৃত্যু হয়েছে ২৫ হাজার ৬৯৭ জনের।

রাশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৮০ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৯৬৮ জনের। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮৩ হাজার ৮৪৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৭ হাজার ১১৮ জনের।

মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্রিটেন। দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ৩৭ হাজার ৪৬০ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৪০ জন। এছাড়া ইতালিতে মারা গেছেন ৩৩ হাজার ৭২ জন।

চীনের উহান থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া ভাইরাস করোনা মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে শনাক্ত হওয়া ভাইরাসটি এখন মহামারি রূপ নিয়েছে সারাবিশ্বে।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নেয়া হয়েছে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ। অধিকাংশ দেশেই মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে মানুষের চলাফেরার ওপর বিভিন্ন মাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। কোনো কোনো দেশে আরোপ করা হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন, কোথাও কোথাও আংশিকভাবে চলছে মানুষের দৈনন্দিন কার্যক্রম। এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার কারণে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার প্রায় অর্ধেক মানুষ চলাফেরার ক্ষেত্রে কোনো না কোনো মাত্রায় নিষেধাজ্ঞার ওপর পড়েছেন।

তবে এরই মধ্যে কোনো কোনো দেশে করোনার প্রভাব কমে যাওয়া লকডাউন শিথিল ও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।

সর্বশেষ