৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কলাপাড়ায় এক প্রধান শিক্ষকের কান্ড ! পর্ব – ০১

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পটুয়াখালীর তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি ১৯৫০ সনে স্থাপিত হলেও কতিপয় শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির অ-সাধু সদস্য’র নীতিহীন কর্মকান্ডের রোষানলে পরে বিদ্যালয়টির সুনাম,ঐতিহ্য হারিয়ে একটি ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে তৈরি হচ্ছে। ফলে এই বিদ্যালয়টির অতীতের সকল কর্মকান্ডকে হারিয়ে বহাল তাবিয়তে রয়েছেন, প্রধান শিক্ষক মোঃ শাহাদুল ইসলাম। ২০০৮ সনে ভাইজান কে ম্যানেজ করে তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে তেগাছিয়ায় আসেন। পার্শ্ববর্তী লালুয়া ইউনিয়নে তার পৌত্রিক ভিটে বাড়ি থাকলেও আট দশ বছর ধরে কলাপাড়ায় অবস্থান করছেন স্ব-পরিবারে। বাড়িতে ঝামেলা করায় বংশের লোকেরাই শাহাদুলকে অন্যায় আচরনের কারনে বেধড়ক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। ফাটা মাথা নিয়ে বেশ কয়েকদিন কলাপাড়া হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তেগাছিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক আহসানুল হাই সিনিয়র এই শিক্ষককে মার ধর করায় ঐ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা এক আট্টা হয়ে স্কুল মাঠে গণ ধোলাই দেয়। নানা অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে এই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে অধিক হারে টাকা নেয়ার অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। যে দিন থেকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসার কারনে, শিক্ষকদের মধ্যেও ফাটল ধরায় শিক্ষার মানের দিক দিয়েও দিন দিন পিছিয়ে রয়েছে এই বিদ্যালয়টি। পাশা পাশি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যালয়টির সকল ঐতিহ্য হারিয়ে একটা গোমট পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে ঐ বিদ্যালয়টি। সাম্প্রতিক করোনা কালীন সময় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন না নিলেও ঐ প্রধান শিক্ষক অ্যাসাইনমেন্ট এর নামে হাজার হাজার টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ করেন অভিভাবকরা। প্রধান শিক্ষক শাহাদুল এর খাই খাই কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ অভিভাবকরা। বিদ্যালয় ও ছাত্র – ছাত্রীদের ভবিষৎ নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। নানা বিতর্ক সৃষ্টির পরেও পার পেয়ে যাওয়া এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত মূলক বিচার দাবি করেছেন অভিভাকগন। নানা বিতর্ক সৃষ্টি কারি প্রধান শিক্ষক শাহাদুলের কর্মকান্ড দেখতে চোখ রাখুন আগামীর সংখ্যায়…..।

সর্বশেষ