পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালীর হোগলা বেতকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়াসহ অনৈতিক আচরণ করায় ওই ছাত্রী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগটি আমলে নিয়ে সরজমিনে তদন্ত করে এর সত্যতা পাওয়ায় বিধিমোতাবেক ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার।
ওই শিক্ষার্থীর দেয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই শিক্ষক গত ১৭ মে স্কুল ছুটির পর ওই শিক্ষার্থীকে পরিক্ষায় সহযোগিতা করার কথা বলে বাড়িতে আসেন।।এসময় তার মা স্যারের জন্য চা নাস্তার ব্যবস্থা করার জন্য ঘরের মধ্যে চলে যান।তখন ওই শিক্ষক শিক্ষাথীকে বিয়ের করার প্রস্তাব দিয়ে তার শরীরে হাত দিলে সে দৌড়ে তার মায়ের কাছে কাঁদতে কাঁদতে গিয়ে ঘটনাটি বলেন।এসময় তার মা এসে দেখেন ওই লম্পট শিক্ষক সেখানে থেকে চলে গিয়েছে। পরে এবিষয়টি ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী গত ২২ মে তার বাবা ও ভগ্নিপতিকে সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ দেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযোগ পেয়ে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে এর সত্যতা পেয়ে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্হা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বছর দুই আগে ওই বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে তার বাড়িতে বসে প্রাইভেট পড়ানোর সময় তার মায়ের সাথে অনৈতিক আচরণ করেন ওই শিক্ষক।পরে বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে তিনি প্রধান শিক্ষকের নিকট লিখিত অভিযোগ দাখিল করনে।তখন ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়াসহ তাকে ৩ মাসের মধ্যে স্বসম্মানে বিদ্যালয় ছেড়ে চলে যাওয়া জন্য বলা হয়।এছাড়াও কয়েকজন ছাত্রীর সাথে অনৈতিক আচারণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
হোগলা বেতকা মাধ্যমিক প্রধান শিক্ষক কিরণ রায় বলেন,বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কর্তৃক এক ছাত্রীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ায় তার বিরুদ্ধে ওই ছাত্রী নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। নির্বাহী অফিসার সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক স্কুলের পক্ষে থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আলতাফ হোসেনে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য ওই ছাত্রীকে দিয়ে আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ খালেদা খাতুন রেখা বলেন, হোগলা বেতকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী সহকারী প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেনের বিরুদ্ধে তার সাথে অনৈতিক আচরণে করায় ওই ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ দেয়। বিষয়টি সরোজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষকদের চাকুরীর বিধিমালা অনুযায়ী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।