১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ঝালকাঠিতে স্কুলে যাওয়ার পথে শিক্ষিকাকে ছুরিকাঘাত, সাবেক স্বামীর আত্মসমর্পন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ঝালকাঠি প্রতিনিধি ::: ঝালকাঠিতে স্কুল শিক্ষিকার পেটে ছুরি বসিয়েছে আতিক নামের এক যুবক। রুনা খানম নামের ৩৫ বছর বয়সী আহত নারী ঝালকাঠি পৌর এলাকার শাহী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে কর্মরত। শিক্ষিকার শরীরে ছুরি দিয়ে রক্তাক্ত জখমের পর দ্বিতীয় স্বামী আতিকুর রহমান পুলিশের কাছে আত্মসমর্পন করেছে। আতিকের দাবী রুনা খানম তার স্ত্রী ছিলেন, গত ২০২১ সালের ১৮ জুলাই তারিখ তাদের বিয়ে হয় এবং পারিবারিক কলহের কারনে পরের বছর ২০২২ সালের ১৫ জুন তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

প্রত্যাক্ষদর্শী জেসমীন সুলতানা, বায়জীদ হাওলাদার এবং আশিকুর রহমার প্রতিবেদককে জানান,বুধবার সকাল ৯ টার সময় রোনাল্ডস রোডের বাসা থেকে শীতলা খোলা শাহী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে সাধনার মোড়ে শিক্ষিকার পথ রোধ করো পেটে ও বুকে ছুড়ি চালিয়েছে আতিকুর রহমান। রক্তাক্ত যখম হয়ে শিক্ষিকা রুনা মাটিতে লুটিয়ে পরে। স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে আতিক পাশে থাকা দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের এটিএসআই শাখাওয়াত এর হাতে রক্তমাখা ছুড়ি সহ আত্মসমর্পন করে আতিকুর রহমান। আত্মসমর্পনের সময় আতিকুর রহমান বলেন, আমি হত্যার উদ্দেশ্য রুনাকে কুপিয়েছি। আমার যে স্বাস্তি হয় আমি মেনে নিবো।

এর পরেই সদর থানা পুলিশের একটি ভ্রাম্যমান দল ঘটনাস্থল থেকে আতিককে থানায় নিয়ে আসে। প্রকাশ্যে সড়কে দারিয়ে নারীকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় আতিককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মে. নাসির উদ্দিন সরকার। আটককৃত আতিকুর রহমান ঝালকাঠি রোনাল্ডস রোডে শিশুসর্গ নামের একটি আর্ট স্কুল পরিচালনা করেন। আর আহত শিক্ষিকা শহরের রোনাল্ডস রোডে ভাড়া বাসায় থাকেন, তার গ্রামের বাড়ি সদর উপজেলার মুরাসাতা গ্রামে। আটক আতিককে পুলিশী হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানায় ওসি।

এদিকে স্থানীয়দের সহযোগীতায় ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত শিক্ষিকা রুনা খানম কে। তবে আহতের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয় সেখানকার জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা।

ঐ সময়ে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের দায়িত্বে থাকা ডা. মেহেদী হাসান সাগর বলেন, ‘রোগীর পেট ও স্তনসহ শরীরের ৪ জায়গায় জখম হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে তার রক্তচাপ নিচে নেমে গেছে। পরে আশংকাজনক অবস্থায় শিক্ষিকা রুনাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান হয়েছে। এ ঘটনায় সহকর্মী ও ঝালকাঠির শিক্ষক সমাজ সাবেক স্বামী আতিকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবী করেছেন।

সর্বশেষ