নিজস্ব প্রতিবেদক ::: গত ৫ আগস্ট গভীর রাতে ছাত্রলীগের এক পক্ষের হামলায় আহত হয় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) অপর পক্ষের ছাত্রলীগ নেতা আয়াত উল্লাহ। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। প্রতিপক্ষের হামলায় তার বাঁ পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয় বলে জানায়। তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।
বুধবার (১৬ আগস্ট) বেলা ২টায় দোষীদের বিচারের দাবিতে একাডেমিক ভবনের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আমরণ অনশনে বসেছেন তিনি। তার ওপর হামলাকারীদের বিচারের আওতায় না আনা পর্যন্ত তিনি অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
আয়াত উল্লাহ বলেন, ‘দুর্বৃত্তদের হামলায় আমি পঙ্গু হতে চলেছি। ন্যাক্কারজনক এই হামলার সঙ্গে জড়িতদের পরিচয় প্রকাশ হলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদেরকে বিচারের আওতায় আনছে না। তাই বাধ্য হয়ে আমাকে অনশনে বসতে হলো।’
আয়াত বলেন, ‘আমার ওপর হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদের মদদ দিচ্ছে কারা তা খতিয়ে দেখা উচিত। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার কোনো খোঁজ নেয়নি। উল্টো আমাকে অনশন থেকে উঠিয়ে দিতে নানা তৎপরতা চালাচ্ছে।’
আয়াত আরো জানান, ‘আমি গত সপ্তাহের বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে আমার ওপর হামলাকারীদের পরিচয় প্রকাশ করেছি। তাদেরকে যতক্ষণ না বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার এবং গ্রেপ্তার না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমি অনশন চালিয়ে যাবো।’
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর মো. মাহফুজ আলম বলেন, ‘আয়াতের অনশনের কথাশুনে আমি সেখানে গিয়েছি। তাকে বোঝানো হয়েছে যে, হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। ’
এদিকে প্রতিপক্ষ রিদম-মঞ্জু গ্রুপের অনুসারীরা এ হামলার ঘটনায় জড়িত নয় বলে একাধিক গণমাধ্যমকে জানানো হয়।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে আয়াত তার ওপর হামলাকারী হিসেবে ইংরেজি বিভাগের তানজিদ মঞ্জু, গণিত বিভাগের রায়হান ইসলাম ও মোবাশ্বের রিদম এবং হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শরিফুল ইসলামের নাম প্রকাশ করেন। হামলার ঘটনায় হিসাববিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক হারুন অর রশিদকে প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।