নাটোরের বড়াইগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তার টাকা এসেছে কিনা জানানোর জন্য এক বিধবাকে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে হযরত আলী (৪৫) নামে এক গ্রাম পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, নাটোরের বড়াইগ্রামের নগর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ হযরত আলী বাড়িতে একা ছিলেন। করোনা দুর্যোগের সহায়তা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা মোবাইল ফোনে এসেছে কিনা তা চেক করতে গ্রাম পুলিশ বিধবাকে (৩৫) নিজ বাড়িতে ডেকে নেন।
কিছুক্ষণ পর ওই নারীতে জানান টাকা আসেনি। এর পর বারান্দা থেকে ওই বিধবা নারীকে টেনে-হিঁচড়ে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন ওই গ্রাম পুলিশ। এ সময় বিধবার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং গ্রাম পুলিশকে আটকে রাখে।
বিধবা ওই নারী জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ২ হাজার ৫০০ টাকা মোবাইল ফোনে এসেছে কিনা তা জানতে গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে ফোন দেন তিনি। এ সময় হযরত আলী মোবাইল ফোন নিয়ে তার বাড়িতে যেতে বলে। তিনি ওই বাড়িতে গেলে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় গ্রাম পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, এই ঘটনার পর গ্রাম পুলিশ হযরত আলীকে স্থানীয়রা আটকে রাখে। কিন্তু ইউপি চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু ফোন দিয়ে জানান গ্রাম পুলিশ একজন আইনের লোক তাকে দ্রুত ছেড়ে দিতে হবে, না হলে যারা আটকে রেখেছে তারা বিপদে পড়বে। ইউপি চেয়ারম্যানের ফোন পেয়ে স্থানীয়রা হযরত আলীকে ছেড়ে দেয় এবং পরে তাকে এলাকায় আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন ডালু দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘নির্যাতিতা বিধবা নারী তার কাছে এসেছিল। তাকে থানায় গিয়ে মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে থানা পুলিশ যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নিবে তিনি তাতে সম্মত রয়েছেন।’
বড়াইগ্রামের এএসপি (সার্কেল) হারুন-অর-রশিদ জানান, ওই বিধবা নারী থানায় অভিযোগ করলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।