৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনার খাদিজাকে বাঁচাতে সাহায্যর আবেদন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

কাওসার হামিদ,তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ

দুই সন্তানের জননী খাদিজার হাসিখুশিতে কাটছিল জীবন হঠাৎ তার জিবনে নেমে আসে অন্ধকার গত কয়েক মাস মরণব্যাধি PUD & PID রোগে আক্রান্ত হয় জীবনের শেষ দিনগুলো গুনছে।
খাদিজা বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের গাবতলী গ্রামের ফারুক সিকদারের মেয়ে।
ব্যক্তিগত জীবনে খাদিজা বিবাহিতা হলেও দীর্ঘদিন যাবৎ বাবার বাড়ীতেই অবস্থান করছে।বাবার ভিটে,বাড়ী বিক্রি করা টাকায় দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরে বাবাও সর্বশান্ত হয়েছে আর বিনা চিকিৎসায় খাদিজার প্রানপ্রদীপও নিভু নিভু।

তার বাড়ীতে গিয়ে তার মা-বাবার আহাজারি শুনে আমার হৃদয় ক্ষত-বিক্ষত হয়েছে।তাদের বাঁধ ভাঙ্গা কান্নায় বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।
তার এক চাচাত ভাইয়ের নিকট থেকে জানলাম খাদিজার ও তার বাবার বাড়ীর করুন পরিনতি।
খাদিজাকে চিকিৎসার জন্য প্রথম ১৬ জুলাাই ‘১৯ খ্রীঃ তারিখ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল জেলা সদর হাসপাল,বরগুনা’র
আর,এম,ও(এক্স) ডাঃ মোঃ আবদুস সালাম সাহেবের নিকট।তিনি নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দীর্ঘদিন চিকিৎসা করেন।ব্যর্থ হয়ে খাদিজার বাবা ভিটে-বাড়ী বন্ধক রেখে কলিজার টুকরো বড় মেয়েকে বাচিঁয়ে তোলার ভরসা নিয়ে মেয়েকে নিয়ে যান বরিশালে।বরিশাল গিয়ে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজের গ্যাসট্রোলজী বিভাগীয় প্রধান(এক্স) জনাব ডাঃ মোঃ আবুল কালাম আজাদ সাহেবের অধীনে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও ফারুক সিকদারের নয়নের নিধি কন্যাটি সুস্থ্য হয়ে না উঠলে বাবা ফারুক হাল ছাড়লেন না।
বুকভরা আশা নিয়ে কলিজাার টুকরো মেয়েটিকে নিয়ে ঢাকায় গেলেন সবটুকু সহায়-সম্বল হারিয়ে।ঢাকায় গিয়ে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপালে ১৬-০১-২০২০খ্রীঃ তারিখ ভর্তি হয়ে অত্র হাসপাতালের জনৈক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের চিকিৎসা নেন।উক্ত হাসপালে ভর্তি হয়ে মেডিসিন বিভাগের Fmw-02 ওর্য়াডের Ex-65 শয্যায় ২১-০১-২০২০ খ্রীঃ তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন।তিনি PUD & PID রোগে ভুগছেন বলে জনৈক আ্যসোসিয়েট প্রোফেসর জানিয়েছেন।
ঢাকা থেকে ফেরার পরে কিছুদিন অপেক্ষাকৃত সুস্থ্য থাকলেও,ধীরে ধীরে তার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে।তাকে যা কিছুই খাওয়ানো হতো,তাই বমি করে ফেলে দিত।
বর্তমানে দুই সপ্তাহ যাবৎ দৈনিক দু-একবার পানি ছাড়া আর কিছুই খেতে পারেন।তাও মাঝে-মধ্যে বমি করে ফেলে দেয়।
খাদিজার বাবার চারদিক অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পরেছে।
কোভিড-১৯ এর প্রর্দুভাবে কাজ নেই,ঘরে খাবার নেই,মেয়ের চিকিৎসার টাকা নেই।
“এরপরে মরার উপর খাড়ার ঘাঁ।” বড় বোনের অসুখ দেখার জন্য ছোটবোন স্বামীর অনুমতি নিয়ে বাবার বাড়ী এসেছে।
এ অপরাধে স্বামীর ভগ্নিপতির প্ররোচনায় স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর মানুষ তাকে আর না নেয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
খাদিজার বাবা ফারুক সিকদারের মোবাইল নম্বর-01798343629.

তালতলী ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ডাক্তার ফাইজুর রহমান জানান, রক্তহীনতা ও পুষ্টিহীনতায় ভুগছে রোগী কোন কিছুই খেতে পারছে না তাই তাকে নল দিয়ে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।
তাকে উন্নত চিকিৎসা করালে সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

সর্বশেষ