২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরগুনায় মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান, বাড়ছে দুর্ঘটনা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি ::: নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের ৩৫ কিলোমিটার এলাকায় বরগুনার আমতলী উপজেলা অংশে চলছে অবৈধ যানবাহন। অদক্ষ চালকের কারণে এসব যানবাহনের মাধ্যমে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। জেলায় প্রতিবছর যতগুলো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে তার মধ্যে আমতলী মহাসড়কেই বেশি।

আমতলী মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, একের পর এক বাস, ট্রাক, মিনিবাস, কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস চলাচল করছে। এদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সড়কে বিভিন্ন ধরনের অটোরিকশা, আলফা, মাহিন্দ্রা, নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ আরও অনেক গাড়ি চলছে। এসব যানবাহন শুধু পৌরসভাধীন সড়কে চলাচল করেই থামছে না, অনেক সময় দূরপাল্লার যাত্রীও বহন করছে। আবার সড়কে দাঁড়িয়েই যাত্রী তুলছেন অনেকে। কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই চলছে এসব যানবাহন।

তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ২৯ এপ্রিল দুপুর ১টার দিকে কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলীর খুড়িয়ার খেয়াঘাট এলাকায় বাসের সঙ্গে ধাক্কায় একটি যাত্রীবাহী নসিমন উল্টে যায়। এ ঘটনায় ২৩ দিন বয়সী এক শিশুসহ আটজন আহত হন।

এছাড়া গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মোল্লা পরিবহনের একটি বাস ও একটি পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। বাসটি প্রথমে একটি মাহিন্দ্রাকে ধাক্কা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকআপের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আহত হয়েছিলেন ১০ জন।

ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়কের আমতলী এলাকায় উল্লেখযোগ্য দুর্ঘটনার মধ্যে গত বছরের ১১ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে আমতলীর খলিয়ান এলাকায় সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রলির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আল আমিন নামে গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় তার সঙ্গে থাকা মাঠকর্মী আবু তাহের গুরুতর আহত হয়েছিলেন।

জানতে চাইলে মো. সফিকুল ইসলাম নামের এক অটোরিকশাচালক বলেন, সড়কে গাড়ি চালাতে আমাদের কোনো বাধা নেই। পুলিশ অথবা অন্য কেউ আমাদের নিষেধ করে না।

এ বিষয়ে আর জে সুপার পরিবহনের চালক মো. কাওসার বলেন, সড়কে অবৈধ যানবাহন চালকরা নিয়ম না বুঝে চালানোর কারণে বড় গাড়ির চালকদের অসুবিধা হয়। অনেক সময় তাদের ভুলের কারণে বড় দুর্ঘটনাও ঘটে।

অভি-রাইসা নামে পরিবহনের চালক মো. সোহেল বলেন, সড়কে অবৈধ গাড়িগুলোর চালকরা তাদের সঠিক লেন না বুঝে একেকজন একেক জায়গা দিয়ে চলাচল করে। ফলে আমরা সতর্ক থাকলেও তাদের কারণে দুর্ঘটনা ঘটে।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান বলেন, এটা দেশব্যাপী একটি সমস্যা। এগুলো নিয়ন্ত্রণে সাধারণত হাইওয়ে পুলিশ কাজ করে। থানা পুলিশের বিভিন্ন ব্যস্ততা থাকায় আমরা সড়কে খুব বেশি কাজ করতে পরি না। তবে এ অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশনা এবং আমাদেরও চেষ্টা রয়েছে।

তবে বরগুনায় হাইওয়ে পুলিশের কোনো কার্যক্রম না থাকায় সংশ্লিষ্ট কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ