নিজস্ব প্রতিবেদক ::: বরিশাল নগরীর কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলি এলাকায় পাওনা টাকা পরিশোধের পরেও দাবিকৃত টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় মোঃ কাওছার হাওলাদার (৪৫) নামের এক দোকানীকে হাতুড়িপেটা করেছে মজনু নামের এক যুবক। গুরুতর আহত ওই দোকানীকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পৌণে ৪ টার দিকে নগরীর কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মোঃ কাওছার হাওলাদার নগরীর কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলি এলাকার মৃত শফিজুদ্দিন হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত মজনু একই মনচুর হাওলাদারের ছেলে।
জানা যায়, নগরীর কাউনিয়া বাসু মিয়ার গলি এলাকায় একটি মুদি দোকান চালান ব্যবসায়ী কাওছার। স্থানীয় মজনু নামের এক যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ধার নেন কাওছার। পরে সুদ-আসলে ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ব্যবসায়ী কাওছার। যার প্রত্যক্ষ সাক্ষি মজনুর শ্বশুর মফিজ। হঠাৎ আজ দুপুরে এসে ৫০ হাজার টাকা পাবে বলে কাওছারের কাছে টাকা চায় মজনু। কিন্তু পাওনা টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানায় কাওছার। পরে মজনু মোবাইল বের করে টাকা নেয়ার ভিডিও দেখিয়ে আরও টাকা দাবি করে। কাওছার টাকা দিতে অপরগতা জানালে তখন চলে যায় মজনু। কিছুক্ষন পরে বিকেলে পৌণে ৪ টার দিকে আবার কাওছারের দোকানে আসেন মজনু ও তার স্ত্রী সুমনা। আবার টাকা চায় মজনু। এ নিয়ে তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরই জের ধরে পকেট থেকে হ্যান্ডকাপ বের করে মজুন কাওছারকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যত হলে কাওছার বাধা দিলে তাকে হাতুরিপেটা করে জখম করে মজনু। সেময় দোকানে ঢুকে ক্যাশ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও দোকান ভাঙ্চুর করে ১৫ টাকার মালামাল নষ্ট করেন মজনু। এসময় কাওছারের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে মজনু ও তার স্ত্রী পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে আহত কাওছারকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মজনুর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহমান মুকুল বলেন- অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।