বাণী ডেস্ক।।
বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুরে যমুনা লাইন বাসটির দুর্ঘটনা তিন কারণে ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। কারণগুলোর মধ্যে একটি হতে পারে চালকের ঘুম! রোববার (২৯ মে) ভোরে উপজেলার বামরাইলে যমুনা লাইন পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারায়।
গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২০ জন। তাদের মধ্যে ১৭ জনকে গুরুতর অবস্থায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল (শেবাচিম) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দুর্ঘটনার কারণ অনুমানের ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বরিশালের সহকারী পরিচালক বেলাল উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনাটি দুটি কারণে ঘটতে পারে। প্রথমটি যান্ত্রিক ত্রুটি, দ্বিতীয়ত ঘটনার আগ মুহুর্তে চালকের ঘুম। তা ছাড়া, মহাসড়ক হওয়ায় এ সড়কে গাড়ির গতি বেশি হওয়া।
তিনি আরও বলেন, এমনভাবেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, বাসটি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। বাসটিতে যাত্রী সংখ্যা কত ছিল, জানা যায়নি। আমরা ঘটনাস্থলে এসে প্রথমে চারজনকে শেবাচিমে পাঠাই। পরে আরও আহত উদ্ধার করা হয়। নিহতদের মধ্যে বাস থেকে আটজন ও পাশের ডোবা থেকে একজনকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মরদেহ উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আরশাদ বলেন, প্রাথমিকভাবে এটা নিশ্চিত যে দুর্ঘটনার সময় বাসের বেশ গতি ছিল। কারণ, দুর্ঘটনাস্থলের প্রায় ১ গজ দুরে একটি ডোবা থেকে এক যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতি বেশি না থাকলে মরদেহ এতদূরে যেত না। তারপরও তদন্ত সাপেক্ষে কি ঘটেছিল, ধারণা পাওয়া যাবে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ বেল্লাল হোসেন বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটি ও চালকের অসাবধানতায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। চালক ও হেলপার কেউ বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন সেটা নিশ্চিত না। বাস আটক করে থাকা নেওয়া হয়েছে। সড়কে এখন যান-চলাচল স্বাভাবিক আছে বলেও তিনি জানান।