১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বরিশাল-লেবুখালী সড়কের দুইপাশে লাল ক্রোসঃ জনমনে আতঙ্ক

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি॥

বরিশাল টু লেবুখালী মহা সড়কের দুই পাশে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষের লাল ক্রোসে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বরিশাল-কুয়াকাটা মহা সড়ক দুই লেন থেকে চার লেন করার প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে শুরু হয়েছে সড়ক জনপথের জমি উদ্ধার। বুধ ও বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা/কর্মচারীরা বরিশাল টু লেবুখালী মহসড়কের রাস্তার দুই পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে বলে লাল ক্রোস দিচ্ছে।

বর্তমানে দেশে চলছে করোনা মহামারী অন্যদিকে বন্যা প্লাবিত দক্ষিণাঞ্চল। এমন পরিস্থিতিতে সড়ক ও জনপদ কর্তৃপক্ষের লাল ক্রোসে প্রায় ২ হাজারের অধিক ব্যবসায়, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে ফেলা দুশ্চিতায় দিশেহারা হয়ে গেছে। জানা যায়, বরিশাল টু লেবুখালী মহা সড়কের দুই পাশে রয়েছে বাখরকাঠী স: প্রা: বি:, বোয়ালিয়া গোহাট, মসজিদ ও মন্দির, রেন্ট্রিতলা এতিমখানা ও জৈনপুরী খানকা, আউলিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মুল ভবন, খান ফিলিং ষ্টেশন, ইসলামিয়া মহিলা কলেজ, ভেলুখা জামে মসজিদ, মুজাহিদা জামে মসজিদ, নাথবাড়ী মন্দির, সরকারি বাকেরগঞ্জ কলেজ জামে মসজিদ, হাওলাদার ফিলিং ষ্টেশন, পৌর মার্কেট, কাঁচা বাজার ও বাস টার্মিনাল, বাসস্ট্যান্ড আল-আমিন জামে মসজিদ, সরকারি কলেজ ছাত্রাবাস, কারিতাস টেকনিক্যাল স্কুল, সৈয়দ ফজলুল করিম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং, ৩টি পৌর পাবলিক টয়লেট, যুব উন্নয়ন বাউন্ডরী, চৌমাথা জামে মসজিদ, বটতলা জামে মসজিদ, লক্ষিপাশা প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুধলমৌ মা: বি:, গাজী বাড়ি জামে মসজিদ। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

আরও জানা যায়, কিছুদিন আগে বাকেরগঞ্জ শ্রীমন্ত নদীর উপর ব্রীজ ও মহাসড়কের কাজ চলার সময় মহাসড়ক থেকে দু’পাশের দোকানপাট ২০ ফুট সরিয়ে নেয়া হয়েছে। অথচ চার লেন করার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ শুরু হতে অনেক সময় লেগে যাবে। এমন পরিস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে তাদের পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না। এসব দোকন মালিকরা ব্যাংকসহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে কোন রকম ব্যবসা করছে। উচ্ছেদ অভিযান শুরু হলে কিভাবে ঋণ পরিশোধ করবে তা নিয়ে দুশ্চিতায় পড়েছেন তারা।

এ বিষয়ে চা দোকানদার সালাম, বাবুল, জব্বার, তপনসহ অনেকেই জানিয়েছেন, চায়ের দোকান দিয়ে ছেলে-মেয়েদের পড়া-শুনা ও পরিবারের খরচ রোজগার করেন। দোকানটির পিছণে এ পর্যন্ত অনেক টাকা খরচ হয়েছে। এ মুহুর্তে যদি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় তাহলে আমার পরিবার নিয়ে পথে বসা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকবে না।

এ বিষয়ে মুদি দোকানদার মামুনসহ আরো অনেকে জানান, আমার মুদি দোকানটির মালামালসহ প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ব্যয় করেছি। রোডস্ এন্ড হাইওয়ের লোকজন কিছুদিন আগেও উচ্ছেদ অভিযান করেছে তখন অনেক দোকানপাট তারা ভেঙ্গে ফেলেছে। এখন আবার লাল রং দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে জানিয়েছেন রোডস্ এন্ড হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ।

যদি উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয় তাহলে দোকন ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন আর্থিক ক্ষতির সম্মখিন হবে সেদিকে লক্ষ রেখে তাদেরj অন্যত্র স্থানান্তর না করা পর্যন্ত যাতে উচ্ছেদ না করা হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্র্তৃপক্ষ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি কামণা করছে ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ