৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বাবুগঞ্জের এক ইউনিয়নে আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ জন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

মোহাম্মদ আলী, বাবুগঞ্জ ঃ আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশালের বাবুগঞ্জে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক উত্তাপ । করোনা ভাইরাস মহামারির শেষ কবে—বিশ্ব জুড়ে এ প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা হলেও এর মধ্যেই দেশে সময় ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের।
আইন অনুযায়ী এ বছরের মার্চের তৃতীয় সপ্তাহের আগে ইউপি নির্বাচন শুরু করতে হবে, আর শেষ করতে হবে জুনের আগেই।
এরই মধ্যে আওয়ামীলীগ এর দলীয় মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও স্থানীয় নেতাদের কাছাকাছি ভিরতে শুরু করেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মনোনয়ন দৌড়ে থাকা নেতারা এরই মধ্যে এলাকায় ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়ে এবং নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সবার কাছে দোয়া প্রত্যাশা করেছেন। পুরানো প্রার্থীদের সাথে এবার চারদিকে নতুন মুখের ছড়াছড়ি।
বিশেষ করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রায় ডজন খানেক প্রার্থী দেখা গেছে।

ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে এবং নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিতে পোস্টার, ফেস্টুন ও নতুন বছরের শুভেচ্ছা বার্তায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সরব হয়ে উঠেছে।

কেদারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী। তিনি ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলী’ র সাধারণ সম্পাদক মোঃ মাহাবুব আলম মাসুম মৃধা, যুবলীগ সভাপতি শিবলুর রহমান বাদল বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামীলীগ এর যুগ্ম সম্পাদক মোঃ কামাল হোসেন, কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক আকন, বাবুগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগ সদস্য জামাল ফকির, কেদারপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ বর্তমান সভাপতি মোঃ শাহজাহান আকন্দ, সিনিয়র সহ- সভাপতি আঃ সালাম হাওলাদার, কেদারপুর আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ইউসুফ হাওলাদার, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ লিটন হোসেন তোতা মিয়াসহ প্রায় ডজন খানেক প্রার্থী। এদিকে জাতীয় পার্টির ব্যানারে মনোনয়ন প্রত্যাশী কেদারপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির তরুন নেতা মোঃ রহমান শরীফ।
তবে বিএনপিসহ অন্যান্য দলগুলোর মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তেমন মাঠে দেখা যাচ্ছে না।

একই ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ এর একাধিক প্রার্থী হওয়ার কারন হিসাবে বর্তমান চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারীর বিভিন্ন দুর্নীতিকেই দ্বায়ী মনে করেন স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ জনগন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পরেই চাল কেলেঙ্কারি নিয়ে পত্রিকার শিরোনাম হন বর্তমান চেয়ারম্যান নূরে আলম বেপারী।
তাছাড়া করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আয় রোজগারের পথ সংকীর্ণ হওয়া দুস্থ এবং অসহায়দের বিভিন্ন রকমের ত্রাণের সুবিধা প্রদান করছে সরকার। কিন্তু কিছু কিছু অসৎ ব্যক্তি তাদের ত্রাণ নিয়ে কারচুপি করছেন ওইসব অসৎ ব্যক্তিদের ধরতে তৎপরতা শুরু করেছিল র‌্যাব।

তারই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাবুগঞ্জ উপজেলার ২ নং কেদারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ভূতেরদিয়া গ্রামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেছিল র‌্যাব-৮ এর বিশেষ অভিযানিক দল।

এসময় চেয়ারম্যানের তিন তলা বিল্ডিং এর নিচতলায় একটি রুমের মধ্যে সরকারি বরাদ্দের ১৮৪ বস্তা চাল উদ্ধার করেন র‌্যাবের অভিযানিক দল। পরে ওই চাল কেলেঙ্কারি ঘটনায় মামলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে।

র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম ও তার সহযোগিতারা সবাই আত্মগোপনে ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ‘কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম পূর্বে থেকেই বিতর্কিত। যা নিয়ে আঞ্চলিক এবং জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এর পরেও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রছায়ায় থেকে পার পেয়ে যায় নূরে আলম চেয়ারম্যান।

সর্বশেষ