৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিট-কর্মকর্তাকে টাকা দিতে না পেরে পটুয়াখালীতে যুবকের আত্মহত্যা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চরহাদী ফরেস্টের বিট কর্মকর্তাকে দাবিকৃত টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ১২টি মহিষ আটকের ঘটনায় মো. সুমন (২০) বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই যুবককে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলার চরহাদী ফরেস্টের বিট কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে চরহাদী সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে ১২টি মহিষ আটক করে। ওই গ্রামের মো. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের ছেলে সুমন তাদের পালের মহিষ দেখতে পেয়ে অনেক খোঁজাখুঁজির পরে ওই রাতে জানতে পারে তার মহিষের পাল মিজান ফরেস্টার আটক করে রেখেছেন।

অভিযোগ উঠেছে, চরহাদীর বিট অফিসার মিজানের সঙ্গে সুমনের ১২ হাজার টাকায় সংরক্ষিত বনাঞ্চলে পালের মহিষ নিয়ে ঘাস খাওয়ানোর সুযোগ পাবে।

নিহতের মা মমতাজ (৪২) অভিযোগ করেন, ফরেস্টের ঘাস টাকা দিয়ে মহিষরে খাওয়াইতে রাজি না আমার স্বামী। কিন্তু আমার ছেলে সুমন ১২ হাজার টাকা চুক্তিতে ফরেস্টার মিজানকে ৪ হাজার টাকা নগদ দিয়েছে আর বাকি টাকা না দিতে পারায় পালের ১২টা মহিষ ওই ফরেস্টার মিজান আটকে রাখে। আমার ছেলে বাকি ৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করতে না পেরে এবং মহিষ না আনতে পেরে বিষ খেয়ে মারা গেছে।

নিহতের বাবা আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ওই দিন আমি চরে ছিলাম না। রাতে খবর পাই আমার ছেলে খুব অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি। আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখি সুমন আর বেঁচে নেই। পরে জানতে পারি- আমার ছেলে মারা গেছে ফরেস্টার মিজানের জন্য। আমি মিজানের বিচার চাই।

চরহাদী ফরেস্টের বিট কর্মকর্তা মিজান সাংবাদিকদের জানান, আমি কোনো টাকা-পয়সা নেইনি। সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকে মহিষ আটক করেছি সুমন আসার পরে দিয়ে দিয়েছি।

দশমিনা উপজেলা বন কর্মকর্তা (রেঞ্জ) অমিতাফ সাংবাদিকদের জানান, আমি শুনছি চরহাদীর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে মহিষ প্রবেশ করায় আটক করা হয়।

দশমিনা থানার ওসি জসীম সাংবাদিকদের জানান, বুধবার লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আর এ ঘটনা তদন্তের জন্য থানা পুলিশের টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। নিহতের পরিবার থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সর্বশেষ