৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বিয়ে করতে এসে জরিমানা গুনে বউ ছাড়াই ফিরলো বর

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

দশমিনা(পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার ৬নম্বর বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর হোসনাবাদ গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীর বাল্যবিবাহ আয়োজন করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ বাল্যবিবাহ সংঘটিত হচ্ছে এমন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উক্ত বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন দশমিনা উপজেলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
জানা যায়,বাংলাবাজার মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের মারুফা দশম শ্রেনীর ছাত্রী। বুধবার সন্ধ্যার পরে বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের চর হোসনাবাদ গ্রামে কনের বাড়ীতে বিয়ের খবর পেয়ে সংগীয় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তখন কনের বাড়ীতে কনে পারসগুনা গ্রামের দশম শ্রেণীর ছাত্রী মারুফা (১৪) এর সাথে আলিপুর ইউনিয়নের রমানাথসেন গ্রামের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী মোঃ আল-আমিন(২৬) এর বিয়ের আয়োজন চলছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত বাল্যবিবাহ বন্ধ করে কনের পিতা ৩হাজার টাকা ও বরের ভগ্নিপতিকে ৫হাজার টাকা জরিমানা করেন। কনের পিতাকে বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বুঝালে তিনি তার ভুল বুঝতে পারেন ও তার মেয়েকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ দিবেন না বলে মুচলেকা দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা জেসমিন আক্ততার।
এ বিষয়ে বাংলাবাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আনোয়ার হোসেন বলেন,
ইউএনও স্যারের এমন অভিযান সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। এমন অভিযান চলমান থাকলে আমরা সস্তিতে নিশ্বাস ফেলতে পারবো এবং এর ফলে সমাজের সামাজিক বিপর্যয় বন্ধ হবে৷ তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতে এমন আরও অভিযান পরিচালনা করার জন্য অনুরোধ জানান৷
এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে ইউএনও মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান। তিনি আরও বলেন, বাল্য বিবাহের ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা প্রশাসন শুন্য সহনশীলতা (zero tolerance) এর নীতিতে থাকবে। ইউএনও হিসেবে আমার ৪ মাস সময়কালে ২০ টির বেশি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাবো তথ্য দেয়ার জন্য। আমরা গভীর রাতেও অভিযান চালিয়েছি এবং ভবিষ্যতে এ রকম অভিযানের জন্য প্রস্তুত।

সর্বশেষ