২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভরা মৌসুমেও ইলিশের দেখা নেই ! হতাশ জেলেরা

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

সঞ্জিব দাস, গলাচিপা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর গলাচিপায় ভরা মৌসুমেও জেলেরা ইলিশ মাছের দেখা পাচ্ছে না, এতে দুঃসময় পার করছেন জেলেরা। শ্রাবণ মাসে যে পরিমান ইলিশ পাওয়ার কথা কাংখিত সেই মাছ পাচ্ছে না জেলেরা। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি আছে, সঙ্গে আছে পূবালী বাতাস। গভীর সাগরে সব ধরনের মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবার পর জেলেরা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, ভেবেছিলেন নিষেধাজ্ঞা শেষে ইলিশের দেখা মিলবে। কিন্তু ইলিশের ভরা মৌসুমেও উপজেলার জেলেদের জালে ধরা পড়ছে না রূপালী ইলিশ। তবে মৎস্য বিশেষজ্ঞরা আশাবাদী, শিগগিরই জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে। জ্যৈষ্ঠ থেকে ভরা মৌসুম চলছে ইলিশের। কিন্তু জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ় পেরিয়ে শ্রাবণেও আশানুরূপ দেখা মিলছে না। নিষেধাজ্ঞার পর গত শুক্রবার মধ্যরাত থেকে মাছ ধরা শুরু হয়। কিন্তু নদ-নদী ও সাগরেও দেখা মিলছে না তেমন ইলিশের। সাগরে মোটামুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও আগুনমুখা, রামনাবাদ, তেতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীতে মাছের হাহাকার। এদিকে বাজারে ভোজনরসিকদের চোখ ইলিশের ডালির দিকে। অন্য বছর এই সময়ে নদীর ঝাঁকা রূপালি ইলিশে ভরা থাকলেও এ বার ঠিক উল্টো। ইলিশের মৌসুমেও ইলিশ ধরতে না পারায় দুর্দিনে পড়েছেন জেলেরা। ভোজন রসিক বাঙালির মনটাও খারাপ। একই সঙ্গে হতাশ মাছের আড়তের মালিকরাও। সারা দিনে দুই এক ঝুড়ি মাছ ঘাটে আসলেও তেমন হইচই নেই গলাচিপা ফেরি ঘাট, পানপট্টি লঞ্চঘাট, উলানিয়া বাজার, বদনাতলী মাছ ঘাট। সেই সঙ্গে উপজেলার হাট-বাজারগুলোতেও ইলিশের সেই হাঁকডাক নেই। ফলে উপজেলার জেলেরা হতাশায় রয়েছেন। একদিকে করোনা সংকট, অন্যদিকে নিষেধাজ্ঞার পর ইলিশ না পাওয়ায় চরম দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা। গলচিপা মৎস্যজীবীদের মাছ শিকারের ঠিকানা বলতে আগুনমুখা, বুড়াগৌরাঙ্গ, রামনাবাদ ও তেতুলিয়া নদী। সারা বছরই কিছু-না-কিছু মাছ মেলে এই নদী থেকে। কিন্তু বর্ষাকালে ইলিশের দৌলতেই পুঁজির জোগানটা হয়। গলাচিপা মৎস্য ব্যবসায়ী চুন্নু মিয়া, শহিদুল হাজী, শাহ আলী বলেন, টানা ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। জেলেরা সাগরে গেছে। কিন্তু ভরা মৌসুমেও ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ এবার পাচ্ছে না। উলানিয়া বাজারের মাছ ব্যবসায়ী খালেক গাজী বলেন, এ বছর ইলিশের তেমন জোগান নেই। ইলিশের উপর অবরোধ শেষ হলেও সাগরে জেলেরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারছে না। এতে আমরাও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি। গলাচিপা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. জহিরুল নবী বলেন, মূলত চলতি বছরে খুব বিলম্বে বৃষ্টি হয়েছে যার ফলে ইলিশ মাছের তেমন দেখা মেলে না। বৃষ্টির পানি হইলেই মাছটা জাগে এখান বৃষ্টি হচ্ছে এখন দেখা মিলবে। বৃষ্টি যত বেশি হইবে মাছের তত দেখা মিলবে। তবে ভোলাসহ উপকূলীয় কিছু কিছু জায়গায় মোটামুটি দেখা যাচ্ছে। দেড়িতে হলেও মাছ হবে এমনটা আশা করা যায়।

সর্বশেষ