২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ভোলায় সাবেক প্রেমিকের হাত ধরে নববধূ উধাও!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

ভোলা প্রতিনিধি ::: ভোলার সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের দক্ষিণ চরপাতা গ্রামে সাবেক প্রেমিকের হাত ধরে উধাও হয়ে গেছে এক নববধূ। এ ঘটনায় সোমবার ওই নববধূর শশুর ভোলা সদর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন। পুলিশ উধাও হওয়া নববধূকে উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।

উধাও হওয়া নববধূ লিমা আক্তার (১৮) একই উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের বালিয়াকান্দী গ্রামের মো. লোকমান মালের মেয়ে। ২১ দিন আগে দক্ষিণ চরপাতা গ্রামের বেচু মাঝি বাড়ির মো. ফয়েজ উদ্দিন মাঝির ছেলে মো. মিরাজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর সাবেক প্রেমিক ফরহাদ পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মো. কালু মাঝির ছেলে।

নববধূর শশুর ফয়েজ উদ্দিন জানান, ২১ দিন আগে লিমা আক্তারের সঙ্গে মিরাজের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ ঘুমাতে গিয়ে তাঁর পরিহিত লেপের মধ্যে নকিয়া মডেলের বাটন একটি মোবাইল ফোন দেখতে পায়। সকলের অগোচরে লিমা ওই ফোন ব্যবহার করত। তাঁর সাবেক প্রেমিক ফরহাদের সঙ্গে ওই ফোনে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ও ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান হতো। ২২ জানুয়ারি রাতে মিরাজ লিমার ফোন পাওয়ার পর ওইদিন ভোররাতেই সে শশুড়বাড়ির সকলের অগোচরে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।

নববধূর শশুরের দাবি, তাঁর পুত্রবধূর সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। মেয়ের পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মিরাজের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দেয়। এ বিয়েতে মেয়ের মত না থাকলেও সেটি ছেলের পরিবারদের বুঝতে দেয়নি। নববধূর মোবাইল ফোন থেকে প্রায় একশো’র অধিক ক্ষুদে বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে। যাঁর বেশিরভাগ ক্ষুদে বার্তা আপত্তিকর।

তবে উধাও হওয়া নববধূর মায়ের দাবি, তাঁর মেয়ের সঙ্গে ফরহাদ হোসেনের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল সেটি তাঁরা জানতেন না। মেয়ের মোবাইল ফোন ব্যবহার সম্পর্কেও তাদের ধারণা ছিল না। মেয়ে যে সিম ব্যবহার করতেন সেটি তাঁর (লিমার মায়ের) হারিয়ে যাওয়া সিম বলেও জানান তিনি। তাঁর মেয়ে তাঁর সিম চুরি করে সকলের অগোচরে তা ব্যবহার করে ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে কথা বলতো।

এ বিষয়ে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ভোলা সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, তিনি ঘটনাটির তদন্ত করছেন। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নববধূকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহীন ফকির জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে নববধূর শশুর। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ