মির্জা আহসান হাবিব ঃ বীর মুক্তিযোদ্ধার ঘরে বেআইনিভাবে প্রবেশ করে চাদা দাবী এবং হত্যার উদ্যেশ্যে তাকে মারধর করার অভিযোগে পটুয়াখালীর টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান শিমু মীরকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মোঃ আবু জাফর রিপন এর স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তার বিরুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মারধর করার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে এবং তিনি যেহেতু কারাগারে আছেন সেহেতু তার কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ অনুযায়ী উল্লেখিত ইউপি চেয়ারম্যানকে তার স্বীয় পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
উল্লেখ্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহালমকে কুপিয়ে জখম করার মামলায় গত বছর ২৯নভেম্বর টিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান ও তার স্ত্রীসহ পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর আগে ২৮ নভেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের ইসলামপুর এলাকায় নিজ ব্যবসা প্রতিষ্টান ও ঘরে গিয়ে পূর্ব নির্ধারিত চাদা না দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহ আলম মিয়ার উপর হামলা চালায় শিমু মীর। এ ঘটনায় ওই দিন রাত বারোটার দিকে তার স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে কলাপাড়া থানায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করেন। মামলায়ে প্রধান আসামি করা হয় ইউপি চেয়ারম্যান শিমু মীরকে।
মামলার বিবরণে বলা হয়েছে, পূর্ব নির্ধারিত ১০ লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় শাহ আলমের বিসমিল্লাহ ব্রিকফিল্ডের কার্যালয়ে চেয়ারম্যান বাহিনীর ১৫ থেকে ২০ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে শাহ আলমকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং তারপর পটুয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে রাতে তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।