২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারি রাস্তা মেরামতের নামে বরগুনায় তরমুজের ট্রাকে চাঁদাবাজি!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

বরগুনা প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলী উপজেলার সোনাখালী গ্রামে সরকারি রাস্তা মেরামতের নামে তরমুজ পরিবহনের ট্রাক থেকে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছেন তরমুজ ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের চাউলা এলাকার স্লুইস গেট পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের নামে শামীম হাওলাদার রশিদ ছাপিয়ে ট্রাক প্রতি ৩০০ টাকা আদায় করছেন। চাঁদা দিতে না পারলে ট্রাক আটকে রাখছেন।

ব্যববসায়ীরা জানান, বরগুনার আমতলী উপজেলার আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নে এ বছর তরমুজের বাম্পার ফলন হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তরমুজ ব্যবসায়ীরা এখান থেকে তরমুজ কিনে ট্রাকে করে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যান। এই সুযোগে স্থানীয় শামীম হাওলাদার তার কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে প্রতি ট্রাকে তিনশ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন। চাঁদা আদায়ের জন্য শামীম হাওলাদার স্থানীয় স্লুইস গেট পানি ব্যবস্থাপনা অ্যাসোসিয়েশনের একটি ছাপানো রশিদ ব্যবহার করছেন।

তরমুজ চাষি জালাল চৌকিদার জানান, তরমুজ বিক্রির শুরু থেকেই শামীম ট্রাক চালকদের কাছ থেকে তিনশ টাকা করে আদায় করছেন। চাঁদা দিতে না চাইলে তাদের ট্রাক আটকে চাঁদা আদায়ে বাধ্য করা হয়।

নাটোরের ট্রাক চালক রবিউল জানান, চাঁদা না দিলে ট্রাক আটকে রাখে। বাধ্য হয়ে চাঁদা দিতে হয়। যতবার ট্রাকে তরমুজ লোড করি, ততবারই চাঁদা দিতে হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জের ট্রাক চালক মফিজ, ময়মনসিংহের মোশাররফ ও গাজীপুরের ওসমান একই অভিযোগ করেন শামীমের বিরুদ্ধে। তারা এ ব্যাপারে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

তরমুজ ব্যবসায়ী অহিদুল ও মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘ট্রাকে তরমুজ লোড করার সময় শামীম এসে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে গাড়িতে তরমুজ লোড করতে দেয় না। বাধ্য হয়ে আমাদের চাঁদা দিতে হয়।’

তবে, অভিযুক্ত শামীম হাওলাদার তিনশ টাকা করে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘ট্রাক চলাচলের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক মেরামতের জন্য সামান্য টাকা আদায় করা হচ্ছে।’

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম বলেন, ‘শামীম আমাদের অফিসের কেউ না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নাম ব্যবহার করে চাঁদা আদায়ের কোনো অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। চাঁদা আদায় করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সড়ক মেরামত করতে হবে এ কথাও সত্য নয়। এ ধরনের চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। এরকম চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হবে।’

সর্বশেষ