১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

নলছিটিতে মাদ্রাসার শিক্ষককে বেধড়ক মারধর।।

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ।।  ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে জমি জমা নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক মাদ্রাসার শিক্ষককে বেধড়ক মারধর করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাদ্রাসার শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে স্থানীয়রা। 

আহত শিক্ষক হলেন কে. এম. জলিল (৫১)।  তিনি ওই থানার ৪ নং রানাপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ রানাপাশা গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইসাহাক আলীর ছেলে । তিনি হদুয়া বৈশাখিয়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী জুনিয়র মৌলভী শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষ অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত সূত্রে জানা যায়, একই এলাকার বাসিন্দা মৃত খাদেম আলীর ছেলে সোহরাফ আলী খন্দকারের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল । এ নিয়ে উভয়ের মাঝে দ্বন্দ্ব বিরাজমান। ঘটনার ৩-৪ দিন পূর্বে গ্রামের রাস্তা বন্যায় ভেঙ্গে গেলে সেখানে সাঁকো নির্মাণের জন্য সোহরাব আলীর একটি বাঁশ কাটে একই এলাকার বাসিন্দা সুলতান আলী খান। তবে ভুক্তভোগী শিক্ষক ওই বাঁশ কেটেছে এই ভেবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রতিপক্ষরা। তবে বাঁশ কাটার কিছুই জানে না ওই ভুক্তভোগী শিক্ষক।
ঘটনার দিন সকালে ওই শিক্ষক মাদ্রাসার জন্য ঘর থেকে বের হলে তাকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে প্রতিপক্ষরা। এ সময় গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাহমুদ খন্দকার, রাশিদা বেগম , সোহরাফ সহ অজ্ঞাত ৫/৬ জন সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়।
এ সময় লাঠির আঘাতে তার ডান হাত ভেঙে যায় ও সারা শরীরে নীলা ফুল জখম হয় ।
পরে স্থানীয়রা আহতকে উদ্ধার করে তাৎক্ষণিকভাবে রাজাপুর সোহাগ ক্লিনিকে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে । সেখানে তার অবস্থান অবনতি হলে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য শেবাচিমে প্রেরণ করে।
বর্তমানে তিনি এ হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ওয়ার্ড চিকিৎসাধীন রয়েছে ।
এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও আহতের স্বজনরা আরো জানান।

সর্বশেষ