১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

ব‌রিশালে সড়কে বেড়েছে মানুষ ও যানবাহন চলাচল

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

নিজস্ব প্রতিবেদক ::: করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান ‘কঠোর লকডাউনের’ চতুর্থ দিনে বরিশালের সড়কে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল বেড়েছে। সেই সঙ্গে কঠোর অবস্থানে ছিল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পাশাপাশি জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

রোববার (৪ জুলাই) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বরিশাল নগরে প্যাডেলচালিত রিকশার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত রিকশা, মোটরসাইকেল ও ভ্যান চলাচল করতে দেখা গেছে। একই সঙ্গে পণ্যবাহী যানবাহনের চলাচলও কিছুটা বেড়েছে। তবে মাস্ক ও হেলমেট ব্যতিত মোটরসাইকেলে দু’জন আরোহী রোধে বিগত দিনের চেয়ে কঠোর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

এদিকে সকাল ১১টার দিকে নগরের আমতলা মোড় এলাকায় পুলিশের চেকপোস্ট পরিদর্শন করেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার। এ সময় তিনি নিজে যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করেন। এছাড়া রাস্তায় বের হওয়া মানুষদের বাসায় ফিরিয়ে দিয়েছেন। এমনকি মামলা দেন বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধেও।

এ সময় উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, গত তিনদিনের চেয়ে চতুর্থ দিনে রাস্তায় মানুষ এবং যানবাহন চলাচল কিছুটা বেড়েছে। অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা হচ্ছে। পণ্যবাহী এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে শপিংমল ও খাবারের দোকানসহ অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে সাধারণ মানুষ বাসার বাইরে বের হচ্ছেন। এদের মধ্যে অপ্রয়োজনে যারা ঘর থেকে বের হয়েছেন তাদের সতর্ক করার পাশাপাশি জরিমানাও করা হয়েছে।

বরিশাল জেলা প্রশাসনের মিডিয়া সেল জানিয়েছে, রোববার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল নগরে তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২৬ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তবে প্রধান প্রধান সড়ক ও বাজার ঘিরে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের তৎপরতা থাকায়ও নগরের বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় সাধারণ মানুষের জটলা এবং কোথাও কোথাও চায়ের দোকান খোলা থাকতে দেখা গেছে।

যদিও উপজেলা সদরগুলোতে এর ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সেনা সদস্য, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব ও স্কাউট সদস্যরাও মাঠ পর্যায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

এদিকে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, রোববারও ‘লকডাউন’ কার্যকর ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে নগরে সচেতনতামূলক র‌্যালি ও প্রচারণা চালানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সড়কের মোড়ে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।

অপরদিকে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার লক্ষ্যে ৭ পদাতিক ডিভিশন ও ৬ পদাতিক ব্রিগেড এর অধীনস্থ ৬২ ই বেঙ্গল ও ৪১ বীরের তত্ত্বাবধানে গত ১ জুলাই থেকে বরিশাল জেলায় টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এছাড়া বিজিবি, র‌্যাব সদস্যরাও তাদের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এদিকে খাবার হোটেলগুলো বন্ধ রাখায় বিপাকে পড়েছেন বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হাজারো রোগীর স্বজনরা। তবে হাসপাতালের সামনের হোটেলগুলো সম্মিলিতভাবে খাবার রান্না করে গত দুইদিন ধরে বিনামূল্যে রোগীর স্বজনদের মধ্যে বিতরণ করছে। তারা সীমিত পরিসরে খাবার দোকানগুলো খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন। এ খবর জানার পর দুপুর ২টার পর শেবাচিম হাসপাতালের সামনের খাবার হোটেলগুলো সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।

এদিকে লকডাউন এবং স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নে নগরী এবং জেলার ১০ উপজেলায় অভিযান চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসনের একাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সর্বশেষ