১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আগৈলঝাড়ায় স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগীতা!

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

শামীম আহমেদ :: বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ প্রাণঘাতী করোনা মোকাবেলায় বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলা প্রশাসনের চরম উদাসীনতা ও নিস্কৃয়তার কারণে স্বাস্থ্যবিধি না মানার তীব্র প্রতিযোগীতার শুরু হয়েছে গেছে উপজেলার সর্বত্র।
উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রশাসনের মনিটরিং এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা না হওয়ার কারনে গ্রামের হাটবাজার থেকে শুরু করে শহরের হাট-বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ি শারীরিক দূরত্ব মানার বালাই নেই কারো মধ্যেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা পোষাক ও উপকরণ ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই উদাসীন। হাট-বাজার ও রাস্তায় চলাচলকারী ৮০ভাগ লোকজনকে মাস্ক ব্যববহার করেন না। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুরুতে জনসচেতনামুল প্রচার-প্রচারনা চালানো হলেও মে মাস থেকে সচেতনতামুলক প্রচার প্রচারনা রয়েছে এবারেই বন্ধ। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে পূর্বের মতো বসছে সকল সাপ্তাহিক হাট-বাজার। ফলে করোনার মহামারীর মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে চলা আগৈলঝাড়ায় করোনা সংক্রমন বৃদ্ধিও ছড়িয়ে পড়ার আতংক বেড়েই চলেছে।

উপজেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত আগৈলঝাড়ায় ৩’শ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে ১৬ জনের শরীরে করোনা সনাক্ত হয়েছে। তারপরেও উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে মানুষের ভিড় লেগে থাকছে। গ্রামের চায়ের দোকানগুলো খোলা দেখা যাচ্ছে রাত ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত। করোনা শুরুর পরে লকডাউনের প্রথমে চায়ের দোকানগুলোতে বসে চা খাওয়ার ব্যবস্থা অপসারন করা হলেও বর্তমানে ফিরে এসেছে লকডাউনের আগের অবস্থা। অকারনেই হাট-বাজার, সড়ক, দোকানে সাধারণ লোকজন ঘুরে বেড়ালেও প্রশাসনিক কোন তৎপরতা না থাকায় প্রতিদিন তা বেড়ে চলায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে উপজেলার বাসিন্দারা। সরকার সাধারণ ছুটির পর জীবন-জীবিকার তাগিদে সীমিত পরিসরে সরকার সবকিছু খুলে দেওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মানার যেন প্রতিযোগীতায় নেমেছে লোকজন। স্বাস্থ্য ঝুঁকির এমন অবস্থা থেকে উপজেলা প্রশাসনকে নিয়ম ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। সচেতন মহলের দাবি, উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভ‚মিকার কারনেই জনগনের স্বাস্থ্যবিধি না মানার প্রতিযোগীতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।

উপজেলা হাসপাতাল প্রধান ডা. বখতিয়ার আল মামুন বলেন, উপজেলায় এ পর্যন্ত ৩’শ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে যার মধ্যে ১৬ জনের দেহে করোনা পজেটিভ এসেছে। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব মানা না হলে ভবিষ্যতে ভয়াবহ আকারে উপজেলায় করোনা সংক্রমন ছড়িয়ে পরতে পারে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রওশন ইসলাম চৌধুরী মুঠোফোনে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় প্রশাসনের নীরবতার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপজেলা প্রশাসন পক্ষ থেকে মাঝে মধ্যে বাজার মনিটরিং এর ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। তবে নির্বাহী অফিসারের বক্তব্য অনুযায়ি গত জুন মাসে উপজেলার কোন হাট-বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কোন খবর জানা জায়নি।

এব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, বর্তমানে উপজেলার কোথাও স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব মানা হচ্ছে না। স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রশাসনিকভাবে যতটুকু তৎপরতা দরকার তা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগ করা হচ্ছে না।

সর্বশেষ