৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমতলীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ১২ জন আহত

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

হারুন অর রশিদ, আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি।
আসন্ন আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়েছে। আশংকাজনক অবস্থায় ৬ জনকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকী ৬ জন আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।
স্থাণীয় সূত্রে জানাগেছে, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদের সমর্থক নাসির উদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে আনারস মার্কার সর্মথনে চরকগাছিয়া সোমবাড়িয়া বাজার এলাকায় মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে নির্বাচনী প্রচার- প্রচারনা চালায়। এসময় অপর প্রতিদ্বন্ধি আওয়ামীলীগ মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেলী পারভীন মালার নৌকা মার্কার সমর্থক কাওসার তালুকদারের নেতৃত্বে একই স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে আনারস প্রতিকের সমর্থকরা নৌকার অফিস ভাংচুর করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১২ জন আহত হয়। আহতরা হলেন নৌকা মার্কার প্রার্থী সোহেলী পারভীন মালার সমর্থক তাওহীদ (৩২), শাহিন (৩০), শহিদুল ইসলাম (৩২), মাসুম তালুকদার (৩৫), কাওসার তালুকদার (৪০), নয়া তালুকদার (৩০) জহিরুল প্যাদা (৩৫) ও লোটাস (৩৭) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবুল কালাম আজাদের সমর্থক মোঃ বশির (৫৫), নাসির উদ্দিন তালুকদার (৫০), সোহেল তালুকদার (৪০) ও জসিম উদ্দিন তালুকদার (৫০)।
আওয়ামীলীগ মনোনিত নৌকা মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী সোহেলী পারভীন বলেন, আবুল কালামের সমর্থকরা শো ডাউনের নামে সোমবাড়িয়া ও নতুন বাজারে আমার দুটি নির্বাচনী অফিসে হামলা চালিয়ে তা ভাংচুর করে। এতে আমার ৮ কর্মী- সমর্থক আহত হয়েছে।
আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, আনারস মার্কার সর্মথনে চরকগাছিয়া সোমবাড়িয়া বাজার এলাকায় প্রচারনা চলাকালে নৌকার সমর্থকরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার ৪ কর্মী- সমর্থক গুরুত্বর আহত হয়েছে। তাদের চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ ফারজানা আক্তার দিনা জানান, আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এদের মধ্যে থেকে ৬ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহআলম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী- সমর্থকদের সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থল ও উহার আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে পরবর্তি আইনি পদক্ষেপ গ্রহন করবো।

সর্বশেষ