আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি ::: বরগুনার আমতলী সদর ইউনিয়নের খলিয়ান নামক স্থানে মঙ্গলবার বিকেলে এমএম এইচ নামে একটি অবৈধ ইটভাটা গুড়িয়ে দিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়া ভাট জেলা প্রশাসক কতৃক প্রদেয় লাইসেন্স, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা ও কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দায়ে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশও দিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম।
জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের খলিয়ান নামক স্থানে মৌসুমের শুরুতে মো.হানিফ উল্লাহ নামে এক ব্যাক্তি লাইসেন্স ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে এমএম এইচ নামে একটি ইটভাটা গড়ে তোলেন। ভাটায় কয়লার পরিবর্তে করাত কল বসিয়ে কাঠ চেরাই করে ইট পোড়াচ্ছেন। এখবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আব্দুল হালিম অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় লাইসেন্স এবং পরিবশে অধিদপ্তরের ছাড়পত্র দেখাতে না পাড়ায় এবং কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ভাটাটি গুড়িয়ে এবং সিলগালা করে দেওয়া হয়। এ সময় ভাটার মালিক মো. হানিফ উল্লাহ অনুপস্থিত থাকায় ভাটার চুল্লি মিস্ত্রি বাদল খান (২৪)কে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম করাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন।
বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল হালিম বলেন, ভাটার কোন বৈধ কাগ পত্র না থাকা এবং কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর অপরধে ভাটা গুড়িয়ে দিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে এবং ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
এ সময় আমতলী থানার এসআই মো: শহিদুল ইসলাম, এসআই বেলায়েত হোসেন এএসআই সোহরাব হোসেন, ও বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র ক্যামিস্ট গোলাম কিবরিয়া উপস্থিত ছিলেন।