৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইন্দুরকানীতে মাছ চুরির সন্দেহে যুবককে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

পিরোজপুর প্রতিনিধি ::: পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মাছ চুরির সন্দেহে মো. সোলাইমান হোসেন শেখ (৩৫) নামে এক যুবককে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার বালিপাড়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বালিপাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে।

ভুক্তভোগী সোলাইমান শেখ ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালিপাড়া গ্রামের মান্নান শেখের ছেলে।

জানা গেছে, ওই যুবককে চুরির সন্দেহে সুপারি গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখেন স্থানীয় ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) রিপন শেখ। খবর পেয়ে ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার মো. সোলায়মান রানা ও ওই যুবকের বড় ভাই স্থানীয় পল্লি চিকিৎসক ইউনুস শেখ রাত ৩টার দিকে তাকে উদ্ধার করেন।

৭ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) সোহেল রানা জানান, ওই রাতে ১টার দিকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের চৌকিদার রিপন শেখ তাকে ফোন দিয়ে সোলইমানকে আটকের বিষয়টি জানান। পরে সেখানে গিয়ে দেখি, রিপন শেখের বাড়ির সুপারি গাছের সঙ্গে সোলাইমানকে পায়ে, বুকে, গলায় ও মাজায় শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা আছে। এ সময় সোলাইমান তার ভাই ও আমাকে দেখে কান্না করেন। পরে চৌকিদার রিপন শেখের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি মাছ চুরির কথা বলেন। এ কথা শুনে তার বড় ভাই কোনো কথা না বলেই ছোট ভাই সোলায়মানকে কয়েকটি চর থাপ্পড় দিয়ে ছাড়িয়ে নেন।

এ বিষয়ে জানতে চৌকিদার রিপন শেখের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, সোলাইমান সেখানে অসৎ উদ্দেশ্যে গিয়েছিল। তিনি মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে সেখানে যাওয়ার দাবি করলেও মূলত অন্যের বুছনি দিয়ে মাছ ছাড়িয়ে নিয়েছিলেন। তার কাছে কয়েকটি চিংড়ি মাছ পাওয়া গেছে। তার কাছে একটি কাঁচি পাওয়া যাওয়ায় আরও বোঝা গেছে যে ওই মাছগুলো তার নিজের না।

এ ব্যাপারে জানতে ভুক্তভোগী সোলাইমানকে ফোন করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইউনুস শেখ জানান, ছোট ভাইকে বেঁধে রাখার খবর পেয়ে সেখানে যাই। গিয়ে দেখি তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। আমার ছোট ভাইকে মাছ চুরির অপবাদ দিয়েছে। তাই আমি কোনো কথা বা প্রতিবাদ না করে তাকে ছাড়িয়ে এনেছি। বিষয়টি নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।’’

সর্বশেষ