২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

এ এক অন্য রকম ভালবাসা…

শেয়ার করুনঃ

Share on facebook
Facebook
Share on whatsapp
WhatsApp
Share on email
Email

 

ঋতুরাজ বসন্তের প্রথম দিনটির সঙ্গে যেন ভালোবাসা মিলেমিশে একাকার।

ফুলে রাঙা বাসন্তী মোহ আজ যুগলদের মনের উচ্ছ্বাসকে বাড়িয়ে দেবে কয়েকগুণ। শুধু তরুণ-তরুণী নয়, নানা বয়সের মানুষই ভালোবাসার এই দিনে একসঙ্গে সময় কাটাবেন।

দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে এখন বাঙালি জীবনের সঙ্গেও মিশে গেছে।

অনেকেই বলে থাকেন, ফেব্রুয়ারির এ সময়ে পাখিরা তাদের জুটি খুঁজে বাসা বাঁধে। নিরাভরণ বৃক্ষে কচি কিশলয় জেগে ওঠে। তীব্র সৌরভ ছড়িয়ে ফুল সৌন্দর্যবিভায়।
পরিপূর্ণভাবে বিকশিত হয়। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, গ্রিটিংস কার্ড, ই-মেইল, মুঠোফোনের এসএমএস-এমএমএসে প্রেমবার্তা, হীরার আংটি, প্রিয় পোশাক, জড়াজড়ি করা খেলনা মার্জার অথবা বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেয়া হয়।

নীল খামে হালকা লিপস্টিকের দাগ, একটা গোলাপ ফুল, চকোলেট, ক্যান্ডি, ছোট্ট চিরকুট আর তাতে দু`ছত্র গদ্য অথবা পদ্য হয়ে উঠতে পারে উপহারের অনুষঙ্গ।

অথচ আমাদের চারপাশে একটু চোখ খুললেই ভালোবাসার একটু ভিন্নতা দেখতে পাওয়া যায়।

ভালোবাসা দিবসে সবারই পরিবার-পরিজন, প্রিয়জন সবাইকে আলাদাভাবে ‘ভালোবাসি’ জানান দেয়ার সুযোগ হলেও হতদরিদ্র, উদ্বাস্তু, মানসিক ভারসাম্যহীন অনেকেরই কোন মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই,নেই প্রিয়জন কিংবা পরিবার। অলিগলি পথ-ঘাট ই যাদের শেষ ঠিকানা।
অতীতের ন্যায় বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের কাছে ছুটে গেছেন মানবিক ছাত্রলীগ নেতা, ঢাকা মহানগর দক্ষিন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশিকুর রহমান খান (আশিক)।
তিনি রাজধানীর সড়কে ভাসমান অসুস্থ, বয়সে প্রবীন, মানসিক ভারসাম্যহীন,উদ্বাস্তু ও বিকলাঙ্গ মানুষের সাথে কথা বলে রাতের খাবার তুলে দেন।

জানতে চাইলে প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, আমার কাছে ভালোবাসা দিবসের সেরা প্রাপ্তি এসব সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সাথে কিছুটা সময় কাটানো,কথা বলা, সাধ্যানুযায়ী খাবার তুলে দেয়া।
এসব মানুষের কাছ থেকে প্রাপ্ত ভালোবাসাটা গতানুগতিক ভালোবাসা থেকে আলাদা।
এ এক অন্যরকম ভালোবাসা!

সর্বশেষ